কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : কলাপাড়ায় মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় অফিস সহায়ক শুন্য পদে ঘুষ কেলেঙ্কারির অপরাধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। পূর্ব মধুখালী গ্রামের আ: কাসেম খানের ছেলে কে এম সাইদুর রহমান কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং- ১০২/২০২৪। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে তথ্য ও মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক শুন্য পদে বিধি মোতাবেক নিয়োগের জন্য গত ১৪০৮২০২৩ ইং: তাং: দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে ঐ পদের এক প্রার্থী সাইদুর রহমান ২১১০২০২৩ ইং: তাং: অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তর পত্রের প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ১ম স্থান অর্জন করলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যরা স্বাক্ষর করে নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী ১৯১১২০২৩ ইং: তারিখে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ০৫/২৩ নং সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাইদুর রহমানকে ঐ বিদ্যালয়ের অফফিস সহায়ক পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরীতে নিয়োগপত্র প্রদান করেন। নিয়োগপত্র প্রাপ্ত হয়ে ২০১১২০২৩ ইং: তারিখে পূর্ব মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় অফিস সহায়ক পদে তিনি যোগদান করেন। এবিষয় ভুক্তভোগী কে এম সাইদুর রহমান বলেন, চাকুরীতে নিয়োগ পেয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার বেশ কিছুদিন পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো গোলাম মোস্তফার কাছে বিলের জন্য যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে বলেন, আমি তোমাকে চাকরিটা দিলাম, যাতে বাড়িতে থেকে বাড়ির কাছে সারাজীবন চাকরীটা করতে পারেন, তবে আমাকে ২ লক্ষ টাকা দিলেই আমি তোমার বিলের সমস্ত প্রসেসিং করে দেবো বললে আমি তাকে অনুরোধ করলে তিনি বলেন, বাড়িতে গিয়া অভিভাবকের সাথে টাকার বিষয়ে কথা বলেন, তারা জোগার করে দিবে, কিন্তু আমি শিক্ষা কর্মকর্তার দাবীকৃত ঐ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে আমার বিল ইস্যুর জন্য বারবার তার নিকট ধর্না দিলে তাতে তিনি আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এনিয়ে অভিযুক্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো গোলঅম মোস্তফা বলেন, মামলার বাদির সাথে আমার এসব বিষয় কখনো কোনো আলোচনা হয়নি, তাকে আমি চিনিনা, টাকা-পয়সা নিয়ে আলোচনার প্রশ্নই ওঠেনা, তার বিল প্রসেসিংয়ের এখনো অনেক সময় আছে, এগুলো সব মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন-গুজব, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।