আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার কালনী নদীর তীর কেটে মাটি বিক্রি অব্যাহত সংলগ্ন রাস্তা ও ফসলিজমি হুমকির মূখে

প্রকাশিত: ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার-আজমিরীগঞ্জের বদলপুরের পাহাড়পুরে অবৈধ ভাবে নদীর তীর কেটে মাটি বিক্রির মহোৎসব অব্যাহত ভাবে চলছে। স্থানীয় কয়েকটি মাটিখেকো চক্র প্রতিদিন নদীর তীর থেকে হাজার হাজার ঘনফুট মাটি উত্তোলন করে স্থানীয়দের নিকট বিক্রি করছে। এতে করে একদিকে সরকার যেমন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে অপরিকল্পিত ভাবে মাটি কাটার ফলে নদী ভাঙনের মুখে বিলীন হতে চলছে পাহাড়পুর-মার্কুলি সড়কসহ কৃষকদের শত শত একর আবাদী জমি।
এ বিষয়ে স্থানীয় তহসিল অফিসের নির্বিকার থাকা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টায়
সরজমিনে ঘটনাস্হলে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়পুর-কাদিরগঞ্জ (মার্কুলী) রোডের নিকলীরঢালা নামক স্থানে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে চলছে নদীপাড়ের মাটি কাটার মহোৎসব। আগামী বর্ষা মৌসুমে বিশেষ করে ওই রাস্তাটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ার আশংখা রয়েছে শতভাগ। এতে করে ফসলিজমিও অকাল বানের পানিতে তলিয়ে যাবার আশংখায় রয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে সন্ধ্যা অবধি চলে মাটি কাটা। কাটার সাথে সাথে সে মাটি ট্রলিতে ভরে নিয়ে যাওয়া হয় ক্রেতার গন্তব্যে। প্রতি ট্রলি মাটি বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।
এমনিতেই নদী ভাঙনের ফলে পাহাড়পুর-মার্কুলি সড়কটি রয়েছে হুমকির মুখে। এমন অবস্থায় নতুন করে নদীর পাড় থেকে মাটি উত্তোলনের ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিসহ রাস্তা সংলগ্ন আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবার আশংকা করছে এলাকার সচেতন মহল।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মাটি উত্তোলনকারী চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত এভাবেই মাটি উত্তোলন করলেও অদৃশ্য কারনে কয়েকশ মিটার দুরে থাকা স্থানীয় তহসিল অফিস এ বিষয়ে জানেন না কিছুই।
এ বিষয়ে বদলপুর ইউনিয়নের তহসিলদার সালাম মিয়ার মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে মাটি উত্তোলনের সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান খাঁনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে এ বিষযে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




error: Content is protected !!