“আমরা গরীব,কম্বল বিতরনের নামে আমাদের আর লজ্জা দিবেন না”?অ্যাড, এম মাফতুন আহমেদ
স্টাফ রিপোর্টঃ-
শীতের মওসুম। দেশব্যাপী শীতের প্রকোপ একটু বেশী থাকাই স্বাভাবিক। কারোর আছে অট্টেলিকা বাড়ী,বিদেশী গাড়ী। ঋনের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে দামী গাড়ী হাকিয়ে চলেছে। একদিন শোনা যাবে গরীবের টাকা মেরে ঋণ খেলাপী হয়েছে। তবুও থেমে নেই। একটু নেতা সাজতে হবে। হালে ছলে-বলে পয়সা হয়েছে। একটু নাম চেতাতে হবে। মানুষ যেন না বলে বেটা হাইব্রীড়। শিকড়হীন । তাকে সবাই কদমবুচি করবে,সালাম-কালাম বিনিময় করবে। নেতা হবার সাথ জেগেছে। তাই ব্যানার খাটিয়ে, অসহায় দুস্থদের মাঝে দু’-চারটা কম্বল বিতরণ করে চলেছেন। ক্যামেরার ফ্লাসে দরিদ্র অসহায়দের একটি কম্বল নিতে যেয়ে তাদের চোখ ঝলছে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষ গুলোকে কী অপমান করা হচ্ছে না? তারা কী আসলে লজ্জা পাচ্ছে না?আপনার এলাকায় অসহায় মানুষের সংখ্যা কত? আপনিই ভাল জানেন। তালিকা তৈরি করুণ। রাতের আধাঁরে যেয়ে একটি কম্বল তাদের মাঝে দিয়ে আসুন। দেখবেন পরদিন সে আনন্দে আটকান হয়ে উঠবে।পবিত্র কুরআন মজীদে অল্লাহতালা এরশাদ করেছেন,“মুক্ত হস্তে দান করুন,বাম হাত যেন না জানে”। আপনি সমাজের দুর্জনের ভূমিকা পালন করবেন,আর দানবীর সাজবেন এতো হয় না। মুক্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে বিবেককে জিজ্ঞেস করুন আপনি কে? বিবেককে বলুন আগে নিজের মধ্যে শুদ্ধতা আনি ;অতঃপর অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়াই। অসহায় মানুষদের এভাবে ব্যানার,ক্যামেরা খাটিয়ে নামমাত্র কম্বল বিতরণ করে আর লজ্জা দিবেন না।