আলুর আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ,নীলফামারীতে-কৃষিমন্ত্রী
এ জি মুন্না, নীলফামারীঃ শীতপ্রবন এলাকা হওয়ার কারনে নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চল আলু চাষের জন্য অত্যান্ত উপযোগী। আজ দেশে ১কোটি টনেরও বেশী আলু উৎপন্ন হচ্ছে। কিন্তু এসব আলুতে পানির পরিমান গড়ে ৮০ শতাংশের বেশী থাকার কারনে রফতানী ও প্রক্রিয়াজাতকরন করা সম্ভব হয় না। এজন্য প্রক্রিয়াজাতকরন করা সম্ভব এমন বেশ কয়েকটি জাতের আলু চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
বিএডিসির মাধ্যমে মানসম্পন্ন আলু বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষন আর কৃষক পর্যায়ে বিতরন জোরদার করণ প্রকল্পের আওতায় রফতানী চাহিদার বিবেচনায় অধিক শুস্ক এসব জাতের আলু চাষ করা হচ্ছে। দেশে চাহিদা রয়েছে ৬০ লক্ষ টন থেকে ৭০লক্ষ টনের মতো।
আজ বুধবার নীলফামারীর ডোমার ভিত্তি আলুবীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শনে এসে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক একথা বলেন।
এ সময় তিনি রফতানীযোগ্য আলুর প্লট, আলু ফসলের মিউজিয়াম, ড্রাগন আর খেজুর বাগান পরিদর্শন করেন। পরে মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন রংপুর বিভাগের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় সভায় মিলিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সচিব মেজবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতরের মহা পরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান, জেলা আওমীলীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহম্মেদ প্রমূখ।
বিএডসি’র আওতাধীন বিশেষায়িত দুইটি ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামার রয়েছে। যার মধ্যে ডোমার খামার সবচেেয় গুরুত্বর্পূণ খামারে মোট জমির পরমিাণ ৫১৬ একর। আলু চাষের উপযোগী ৩১০ একর। অবশিষ্ট ২০৬ একর অন্যান্য ফসল ও স্থাপনা রয়েছে। চলতি ২০২০-২১ উৎপাদন র্বষে ২৫৬ একর জমিতে বীজআলু উৎপাদন করা হয়েছে। এছাড়াও এখানে দুইটি টিসুক্যালচার ল্যাবরেটরি রয়েছে।
এছাড়াও এই প্রকল্পরে আওতায় সারাদেশে ২৮টি জোনে চুক্তিবদ্ধ চাষি’র মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ব্যবহৃত ও প্রত্যায়িত বীজআলু উৎপাদন করা হচ্ছে।