কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার ব্র্যাক ব্যাংক প্রবাসী শাখার ফিল্ড অফিসারের অনিয়ম দূর্নীতি অভিযোগ
মাসুদ আলম চয়ন
মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার ব্র্যাক ব্যাংক প্রবাসী শাখার ফিল্ড অফিসারের অনিয়ম দূর্নীতি ও ব্যাক্তি আক্রোশের কারনে ঋন না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়,কমলগঞ্জ উপজেলার ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বিক্রম কলস গ্রামের চিনু রঞ্জন তালুকদার দুই লাখ টাকা ঋন নেয়ার জন্য মুন্সিবাজার ব্র্যাক ব্যাংক প্রবাসী শাখায় যান। ব্র্যাক ব্যাংক মুন্সিবাজার প্রবাসী শাখার ফিল্ড অফিসার জুবাইদুল ইসলাম ২মার্চ তার বাড়িতে পরিদর্শন করতে যান। কয়েক দিন অপেক্ষা করে ৭মার্চ চিনু রঞ্জন তালুকদার ব্র্যাক ব্যাংক মুন্সিবাজার প্রবাসী শাখার ফিল্ড অফিসার জুবাইদুল ইসলামের সাথে দেখা করে ঋন সংক্রান্ত বিষয় জানতে চাইলে ফিল্ড অফিসার আলাপ আলাচনার ফাঁকে তাকে বলেন, সঞ্চয় জমা দিতে হবে এবং সেই সাথে কিছু টাকা পয়সা খরচ লাগবে। চিনু রঞ্জন তালুকদার ঋন নিতে গিয়ে কেন অতিরিক্ত টাকা পয়সা দিতে হবে ফিল্ড অফিসার জুবাইদুল ইসলামের সাথে র্তকে জড়িয়ে পড়েন। চিনু রঞ্জন তালুকদার জানতে চান সঞ্চয় জমা দেওয়ার পর আর কোন টাকা লাগার কথা নয় অতিরিক্ত খরচ কেন লাগবে। এই ব্যাপারে তর্কের এক পর্য়ায়ে ব্র্যাক ব্যাংক প্রবাসী শাখার ফিল্ড অফিসার জানান, ঋন সংক্রান্ত বিষয়ে এই শাখায় তার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত। তার সাথে কেন তর্ক করলেন বিধায় তাকে কোন ঋন দেওয়া যাবেনা। পরে বিষয়টি নিয়ে কমলগঞ্জে ব্র্যাক ব্যাংক প্রবাসী শাখার দায়ীত্ব প্রাপ্ত অফিসার আবজল হোসেনের সাথে ৯ মার্চ এই ব্যাপারে অভিযোগ করলে তিনিও বলেন, ফিল্ড অফিসারকে কেহ সন্তুষ্ট করতে না পারলে সে ঋন পাবে কি ভাবে। ঋন দেওয়ার বিষয় ফিল্ড অফিসারের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত। তার কথা মতো কাজ করতে হবে। ঋন সংক্রান্ত প্রস্তাবের কোন কাগজ পত্র জমা না নিয়ে শুধু মাত্র বাড়ি পরিদর্শন করে ঋন দেওয়া হবেনা সিন্ধান্তের বিষয়টি ঘুষ দূর্নীতির ইঙ্গিত করে কি না প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর করতে পারেননি। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ব্র্যাক ব্যাংক মুন্সিবাজার প্রবাসী শাখার ফিল্ড অফিসার জুবাইদুল এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে, আমি ২মার্চ চিনু রঞ্জন তালুকদার এর বাড়িতে পরিদর্শন করে ঋন প্রস্তাব পাঠিয়ে ছিলাম। তাকে অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। তিনি আমার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। আমি কমলগঞ্জে ব্র্যাক ব্যাংক প্রবাসী শাখার দায়ীত্ব প্রাপ্ত অফিসার আবজল হোসেনের সাথে এব্যাপারে কথা হয়েছে। তাকে আর ঋন দেওয়া যাবে না। কাগজ পত্র জমা না নিয়ে কি ভাবে ঋন প্রস্তাব পাঠালেন, আর তর্কের কারনে ব্যাক্তিগত আক্রোশে প্রতিষ্টানের ক্ষতি করা কি তার অফিসিয়েল দায়ীত্বের মধ্যে পড়ে এমন প্রশ্নের জবাব তিনি দিতে পারেন নি। কমলগঞ্জে ব্র্যাক ব্যাংক প্রবাসী শাখার দায়ীত্ব প্রাপ্ত অফিসার আবজল হোসেনের সাথে আলাপ করলে তিনিও তর্কের কারনে ব্যাক্তিগত আক্রোশের কথা স্বীকার করেন । এক জন গ্রাহক তর্কের কারনে ব্যাক্তিগত আক্রোশের ঋন না দেওয়ার বিষয় কতটুকু যুক্তিযুক্ত সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোন সঠিক ব্যাখা দিতে পারেন নি।