করোনা পরিস্থিতিতে অবিরাম লড়ছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার

প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২০

নাজমুল হুদা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ করোনা পরিস্থিতিতে অবিরাম লড়ছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার। এ পরিস্থিতিতে কখনোই ছিল না তার পিছুটান। এলাকাবাসীদের সুরক্ষার কথা ভেবে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার। করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিতেও কোন প্রকার দ্বিধা করছেন না তিনি। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নে অবিরাম ছুটে চলেছেন। কাজের ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন সকালে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, দোকানপাট, বিপণী বিতানগুলোতে নিজ হাতে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে এলাকাবাসীদের সচেতন করে আসছেন তিনি। এ উপজেলার যেখানেই মানুষের সমস্যার কথা শুনছে, সেখানেই তিনি দ্রুতগতিতে ছুটে চলেন। সমস্যা নিরসনে নেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। গত ৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। তখন থেকেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার নন্দীগ্রাম উপজেলাবাসীদের করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য তৎপর হয়ে উঠেন। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে প্রবাসী, সাধারণ মানুষদের ঘরে রাখা, সরকারি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা, কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত, লকডাউন অমান্যকারীদের ঘরে ফেরানো ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি। দেশের এমন ক্রান্তিকালে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছেন তিনি। এর পাশাপাশি উপজেলার হতদরিদ্র, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও কর্মহীন-অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়ার জন্য দিনরাত বিভিন্ন স্থানে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ছুটে চলেন তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি অফিসের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি উপজেলাবাসীদের জন্য যা করেছি, তা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকেই করেছি। করোনা আমাদের কাছে বেঁচে থাকার অন্যরকম যুদ্ধ। তাই আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে এ যুদ্ধে লড়ছি। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের হওয়া যাবে না। নিজে সচেতন থেকে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের করোনা থেকে সুরক্ষা করতে হবে। এলাকার জনপ্রতিনিধি, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা করোনা পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। এ কারণে নন্দীগ্রাম উপজেলায় করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেছেন অন্যান্য উপজেলার চেয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা অনেক ভালো রয়েছে। ২০ জুলাই পর্যন্ত এ উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ জন ও মৃত্যুর সংখ্যা ২ জন।




error: Content is protected !!