কলাপাড়ায় আসহায় ২ সন্তানের মাতা হোসনেআরা বেগম নিজ সম্পত্তি ফিরে পেতে জনেজনে ধরনা॥

প্রকাশিত: ২:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২০

রাসেল কবির মুরাদ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি; কলাপাড়ায় বালিয়াতলী ইউনিয়নের চড় বালিয়াতলী গ্রামে নিজ সন্তানের নামে ক্রয়কৃত সম্পত্তি বুঝে পাওয়ার জন্য সমাজের বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে ২ সন্তানের মাতা হোসনেআরা বেগম (৩২)। শশুড়বাড়ীর লোকজনের রোষানলে পড়ে নিজের জমি থাকতেও অবুঝ সন্তান নিয়ে অভাগী হোসনেআরাকে অন্যের বাড়িতে আশ্রিত থাকতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়নের ছোট বালিয়াতলী গ্রামের ফজলে খন্দকারের পুত্র মোস্তফা খন্দকারের সাথে ১৪ বছর আগে
হোসনেআরার বিয়ে হয়। সংসার জীবনে ২ সন্তানের জননীও হন তিনি। হোসনেআরা তার নানা বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে ফুফু শাশুড়ির পাওয়া পৈত্রিক সম্পত্তি হতে
১০ শতাংশ সম্পত্তি দুই সন্তানের নামে ক্রয় করেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা সেখানে বসবাস করছিলেন। তাদের সংসার ভালভাবেই চলছিল হঠাৎ স্বামী মোস্তফা খন্দকার আরেকটি বিবাহ করে অন্যত্র পালিয়ে য়ায়। ২ সন্তান নিয়ে খুব অসহায় হয়ে পরে হোসনেআরা। এনিয়ে তিনি স্বামীর নামে আদালতে একটি মামলাও করেন।
অনেকদিন পর তার খোঁজ পাওয় গেলেও ১ম স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া ২য় বিবাহ করায় তার সাজা হয়। এরফলে হোসনেয়ারা বেগম শশুড়বাড়ির রোষানলে পড়েন। তাকে
বিভিন্নভাবে হয়রানী করতে থাকে।

হোসনেয়ারা বেগমে বলেন, সন্তানদের নামে ক্রয়কৃত সম্পত্তি হতে আমাকে বিতারিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পায়তারা চালাচ্ছে। আমি নিরুপায় হয়ে
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট নালিশ করি। তিনি শালিস করে আমাকে সম্পত্তি ভোগদখলের অধিকার দিতে বললেও আমার শশুড়বাড়ীর লোকজন মানতে নারাজ।
সর্বশেষ জমিতে ঘড় তুলতে গেলে আমার শশুড় ফজলে খন্দকার, দেবর সোহেল ও নিজাম আমাকে বাঁধা দেয়। তারা ঘড়ের খুঁটিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি উপড়ে পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেয়। তিনি আরোও অভিযোগ করে বলেন, আমার শশুর ও দেবররা মিলে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে আমাকে থাকতে দিচ্ছে না। আমি আমার সম্পত্তির সঠিক বুঝ চাই যেখানে আমার সন্তানদের নিয়ে থাকতে পারি। কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে শুক্রবার জমি বুঝিয়ে দিবে বলে শশুড়বাড়ির লোকজন স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানা যায়।

এবিষয়ে হোসনেয়ারার শশুড় ফজলে খন্দকার তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, হোসনেয়ারা বেগমের সম্পত্তিতে আমরা কেহ বাধা দেইনি, এসব মিথ্যা ও বানোয়াট।

বালিয়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি নিয়ে শালিস হয়েছে। অসহায় হোসনেয়ারা ও তার সন্তানদের সম্পত্তির বুঝ দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু হোসনেয়ারার শশুড়বাড়ীর লোকজন কথা না শুনে অন্যায় করছে।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শশুড় ও পুত্রবধুর মধ্যে জমি-জমা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম।
শুক্রবার স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিষয়টি সুরাহা করার পরামর্শ দিয়েছি। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




error: Content is protected !!