কলাপাড়ায় একই খাস জায়গা ২/৩বার বরাদ্ধ দেয়ায় সীমাহীন বিপদে পড়েছে এলাকার অসহায় ভূমিহীনরা ॥
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ায় ভূমি
অফিসের কতিপয় দুস্কৃতিকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে একই খাস জায়গা
২/৩বার বরাদ্ধ দেয়ায় সীমাহীন বিপদে পড়েছে এলাকার অসহায় ভূমিহীনরা। বছরের
পর বছর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে খাজনা পরিশোধ করেও ভোগ করতে পারছে না। এরসাথে
যোগ হয়েছে স্থানীয় ভিলেজ পলিটিক্স। খাস জমির কার্ডধারী ব্যাক্তি ইউপি
চেয়ারম্যান সমর্থীত লোক না হলে চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় ভূমী অফিসের লোকজন
একই জমি বারবার বরাদ্ধ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে
ভূমিহীনরা তাদের নামে বরাদ্ধ পাওয়া জমি ভোগ-দখল করতে পারছে না।
নির্ভতরযোগ্য তথ্য সূত্রে জানা যায়, ৩৬ নং জে এল ভূক্ত চরচাপলী মৌজার এসএ
৪৪৮ নং খতিয়ানের ১৫০/২৮৪ নং দাগে মো.গিয়াস উদ্দিন জোমাদ্দারের নামে ২একর
৩০শতাংশ জমি বরাদ্ধ দেয়। যার বন্দোবস্ত কেস নং ৮ কেএম/৫৩-৫৪। বন্দোরস্তের
সকল শর্ত পালন করে খেপুপাড়া এস,আর অফিসে যা কবুলিয়াত রেজিষ্ট্রি করা হয়।
পরবর্ততে ২০/০৬/১৯৬০ খ্রিঃ মো: গিয়াস উদ্দিন জোমাদ্দার ওই জমি মোক্তার
আলী ও আ: সত্তার হাওলাদারের কাছে রেজিষ্ট্রিকৃত ৭৯০ নং ছাপকবলা দলিল মূলে
বিক্রি করে। এর পর থেকে তারা এবং তাদের ওয়ারিশগন উক্ত জমিতে বাড়ি-ঘর
নির্মানও চাষাবাদ করে ভোগ দখল করে আসছে। এছাড়া সরকারের কোষাগারে খাজনা
পরিশোধ করে আসছে নিয়মিত। এদিকে উক্ত জমিতে বর্তমানে চরচাপলী বনাঞ্চল থেকে
উচ্ছেদকৃত ১৪ জেলে পরিবারকে পূনর্বাসনের জন্য ১৪টি পাকা ভবনের নির্মান
কাজ চলছে।
একদিকে একই জমি ১৯ কে/২০০৩-০৪, ১৬৪কে/২০০৬-০৭,৬৩৯-কে/৮৯-৯০, ও ৫ কে/৬৮-৬৯
নং বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে বরাদ্ধ দেয় স্থানীয় ভূমি অফিস। এনিয়ে পূর্বেও
বন্দোবস্ত প্রাপ্তরা অভিযোগ করলে উপজেলা কৃষি খাস জমি ব্যাবস্থাপনা ও
বন্দোবস্ত কমিটি ২২-০৯-০৮ খ্রিঃ অনুষ্ঠিত সভার মাধ্যমে বাতিলের প্রস্তাব
করা হয় যা পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক(রাজস্ব) লক্ষন চন্দ্র দেবনাথ
বন্দোবস্ত কেস বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
অপরদিকে ওই বন্দোবস্তকৃত জমি বি,এস জরীপে এস,এ ৪৪৮নং খতিয়ানের ১৫০/২৮৪নং
দাগের ভূমি বি,এস ৫১নং জে এল ভূক্ত চরচাপলী মৌজায় সরকার নামীয় ১নং খাস
খতিয়ানে ১১৪৪/১১৩২/৩২২ নং দাগে অন্যায়ভাবে রেকর্ড হয়েছে। এনিয়ে জমির
বন্দোবস্তপ্রাপ্ত জমির ক্রয়সূত্রে মালিকরা পটুয়াখালী যুগ্ম-জেলাজজ ১ম
আদালতে একটি মমলা দায়ের করে যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে মহিপুর তহশীলদার মো: দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, চরচাপলী
বনাঞ্চল থেকে উচ্ছেদকৃত ১৪ জেলে পরিবারকে পূনর্বাসনের জন্য ১৪টি পাকা
ভবনের নির্মানে যে জমি জমি বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে তা মূলত: খাস। ইতিপূর্বে
তা বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।