নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাসেল কবির মুরাদ ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ
কলাপাড়া হাসপাতালে যন্ত্রনায় কাতর প্রিয়জনকে বাঁচাতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছিলেন স্বজনরা। ঘন কুয়াশার চাঁদরে মোড়ানো চারিদিক ঘড়ির কাটায় রাত তিনটা । নবজাতক এক কন্যা শিশুর জন্ম দিয়ে হাসপাতালের বিছানায় রক্ত শূন্যতায় কাতরাচ্ছিলেন প্রসুতি মা লিজা আক্তার। ডাক্তার বলছিলো রক্ত না
পেলে জীবন বাঁচানো প্রায় অসম্ভব। রক্তের সন্ধান পাচ্ছিলো না আপনজনেরা। এসময় কলাপাড়া থানার টহলরত পুলিশ সদস্যরা এসে পৌঁছায় হাসপাতালের সামনে জানানো হয় (এ পজেটিভ) রক্তের অভাবে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে বাঁচার জন্য প্রানপন যুদ্ধ করছেন সদ্য জন্ম দেয়া শিশুর মা। রক্ত দানে এগিয়ে আসেন
মানবিক পুলিশ সদস্য মো: রুবেল মাদবর। কোন প্রস্তুতি ছাড়াই সময় না করে ওই মাকে রক্ত প্রদান করলে শারিরিক সুস্থতা ফিরে পান ওই মা। পুলিশের এমন
মানবিকতার দৃষ্টান্তে অশ্রæজলে সিক্ত হন উপস্থিত অনেকই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকসহ সেবিকারা শ্রদ্ধায় সাধুবাদ জানান সকলে।গৃহবধূর শাশুড়ি শামছুর নাহার বলেন, শুক্রবার রাত ১২ টায় ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের নিজ বাড়িতে একটি ফুট ফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় লিজা আক্তার (১৮)। পরে সে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরলে স্বজনরা তাকে কলাপাড়া
হাসপাতালে নিয়ে আসলে এমন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, গভীর রাতে রোগীর অবস্থা শঙ্কাজনক অবস্থায় প্রচুর রক্ত ক্ষরন হয়েছে সে মূহুর্তে রক্ত না দিলে তাকে বাচানো
কঠিন হয়ে যেতো।কলাপাড়া থানা পুলিশের সদস্য রুবেল মাদবর বলেন, এদিন গভীর রাতে টহল টিমের
সাথে হাসপাতালের সামনে ছিলাম। এসময় কেউ রক্তের সন্ধান করছিলেন। একথা শুনে পুলিশ হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে শিশুটির কথা ভেবে ওই মাকে রক্ত দেই। যাহোক
আল্লাহ এখন মা এবং মেয়েকে সুস্থ রেখেছেন এতেই খুশি আমরা।