কলাপাড়ায় জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী জজ আদালতে দুধর্ষ চুরি॥
রাসেল কবির মুরাদ,কলাপাড়া(পচুয়াখালী)প্রতিনিধি; কলাপাড়ায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দূর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে সংঘবদ্ধ চোরের দল তিন তলা ভবনে অবস্থিত উভয় আদালতের সব ক’টি কক্ষের আলমারি, ফাইল কেবিনেটের তালা ভেঙ্গে এ দুধর্ষ
চুরি করে। সোমবার কলাপাড়া থানা পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে জুডিসিয়াল
ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ষ্টেনো টাইপিষ্ট আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী’র নামে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার বিবরনে জানা যায়, কলাপাড়া পৌরসভার পুরাতন পানি ভবনে সদ্য
স্থানান্তরিত উভয় আদালতের প্রথম কার্যদিবস শেষে রবিবার আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যার যার বাসায় চলে যায়। সোমবার সকালে আদালতে কর্মরত জিআরও
আদালতে এসে দেখতে পান কলাপসিবল গেটের তালা, তার কক্ষের দরজার তালা ভাঙ্গা। সমস্ত মূল্যবান কাগজপত্র, মালামাল ও আসবাব পত্র এলোমেলো। উভয়
আদালতের ১ম, ২য় ও তৃতীয় তলার প্রতিটি কক্ষের দরজার তালা, ষ্ট্রীলের আলমারি, ফাইল কেবিনেট, টেবিল ড্রয়ারের সকল তালা ভাঙ্গা। আদালতে কর্মরত
সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর আলমিরা, ড্রয়ার ভাঙ্গা। বিচারকদের এজলাস ও খাসকামরার সকল আলমিরা ড্রয়ার এর তালা ভাঙ্গা। আইনজীবীদের বসার রুমের
আলমিরা ও কেবিনেটের তালা ভাঙ্গা। এছাড়া আইনজীবী সমিতির ষ্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে ওকালত নামা ও কাগজ বিক্রীর ৩০ হাজার টাকা সহ সমিতির ব্যাংক হিসাবের চেক বইয়ের ৫টি পাতা নিয়া যায়। বিভিন্ন অফিস রুমের ড্রয়ার ভেঙ্গে আরও ৫০ হাজার টাকা সহ মূল্যবান কাগজপত্র নিয়া যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। আদালতের দুই জ্যেষ্ঠ বিচারক, বেঞ্চ সহকারী,কর্মকর্তা-কর্মচারী,আইনজীবী ও কলাপাড়া পৌরমেয়রকে মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে। কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আসাদুর রহমান জানান, সংঘবদ্ধ চোরের
দল মূল গেটের তালা না ভেঙ্গে সানসেটের উপরের গ্লাস ভেঙ্গে আদালত ভবনে প্রবেশ করেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চুরির ঘটনার সাথে জড়িত চোরদের শণাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। এদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে আদালত ভবনে চুরির ঘটনায় শহরজুড়ে আলোচনা ও
আতঙ্ক চলছে সাধারণ মানুষের মনে। এনিয়ে আদালতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবীদের কেউ গনমাধ্যমের সাথে কথা না বললেও একধরনের ক্ষোভ ও উৎকন্ঠা দেখা গেছে তাদের মধ্যে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুধর্ষ এ চুরির ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।