কলাপাড়ায় মহিলা ডিগ্রী কলেজে ২০২১ সালের এইচ এসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র দেয়ার নামে অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগ ॥
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ
কলাপাড়ায় মহিলা ডিগ্রী কলেজে ২০২১
সালের এইচ এসসি পরীক্ষায় প্রবেশ পত্র দেয়ার নামে অবৈধভাবে অতিরিক্ত অর্থ
আদায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানটির
শিক্ষকদের একাংশ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝেও ব্যাপক তুলকালাম কান্ড
সৃষ্টি হয়েছে। তবে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে উর্ধতন কর্মকর্তারা বলছেন
আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ শিক্ষার্থীদের মাঝে ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া
হয়েছে। এরমধ্যেই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন অর্থ বাণিজ্য ধামাচাপা দিতে
মধ্যেস্থতাকারী বিভিন্ন ধান্দাবাজ দালালরা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, ২০০০ সালে স্থাপিত কলাপাড়া মহিলা কলেজ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির জাতীয় শিক্ষাবোর্ডের অধিনে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম
শুরু হওয়ার পর ২০১৫ সালের মার্চ মাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কলেজটিকে
ডিগ্রি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর থেকে সুনামের সাথে পাঠদান কার্যক্রম চলছে।
২০২১ সালের এইচ এসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্রের নামে অতিরিক্ত অর্থ
আদায়ের অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানের দায়ীত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, পরীক্ষায়
অংশ নেয়া ১৬৮জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশ পত্রের নামে ১২০০ টাকা করে
নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্তারা। এছাড়াও বিদায় অনুষ্ঠানের নামে অতিরিক্ত
২০০ টাকা করে নিয়ম বহির্ভূত চাঁদা নেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিনিধিকে জানায়, প্রমান না
রেখে কোন রশিদ না দিয়ে তাদের কাছ থেকে ১২০০ টাকা নেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকদের একাংশ এ প্রতিবেদককে বলেন, অবৈধভাবে এ
ধরনের অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ফলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
এরফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন তারা।
এবিষয়ে কলাপাড়া মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মো: ফারুক
গনমাধ্যমকে জানায়, আপনাদের কাছে যে অভিযোগ রয়েছে আসলে ততটা সত্য নয়। তবে
ডি ডি মহোদয় একটা নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: বাহাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি
অসুস্থকালীন সময়ে অধ্যক্ষ সাহেব ফোন করে জানিয়েছেন যে এডমিটের জন্য
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কিছু টাকা নিবেন। তবে অতিরিক্ত ১২০০ টাকা আদায়
করা হয়েছে তা আমার জানা নেই।
বরিশাল অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পরিচালক মো: মোয়াজ্জেম হোসেন এসব
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানায়, বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার সাথে সাথে
আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ শিক্ষার্থীদের মাঝে ফেরৎ দেয়ার নির্দেশ দেয়া
হয়েছে। এছাড়াও এধরনের অর্থ আদায় অবৈধ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।