কলাপাড়ায় সরকারি এমবি কলেজের নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে ॥
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ^াস
অনার্স কলেজের কলেজের নন-এমপিও শিক্ষকরা চলতি বছরের ২৯ আগষ্ট ভারপ্রাপ্ত
অধ্যক্ষ বরাবর বেতন ভাতাদি পাওয়ার আবেদন করলেও কোন কর্নপাত করছেনা
কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন
শিক্ষক-কর্মচারিরা। পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে সঠিক দায়িত্ব পালন করলেও এসব
ভুক্তভোগীদের মাস শেষে বেতন প্রদানে নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ
উঠেছে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত অনার্স কলেজগুলোয় কর্মরত
ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারিদের জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক কলেজের
তহবিলে অর্থ থাকা সাপেক্ষে মূল স্কেলের শতভাগ বেতন ভাতা প্রদানের বিষয়
উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে নন-এমপিও শিক্ষকদের বেতন দেয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম
ফিলাফসহ বিনা রশিদে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে একাধিক শিক্ষার্থী
অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এতে নন-এমপিও শিক্ষকদের
মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কাছ
থেকে যে বেতন আদায় করা হয় তা সঠিক বণ্টন হচ্ছে না। এতে নন-এমপিও শিক্ষকরা
বঞ্চিত হচ্ছেন।
এবিষয়ে ননএমপিও একাধিক শিক্ষকদের অভিযোগ, কলেজ জিও হওয়ার পর থেকে প্রায়
৪১ মাস বেতন দেওয়া হচ্ছেনা। কিন্তু কলেজ অনার্স খাত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা
আয় হলেও আমাদের বেতন ভাতা দিতে উদাসীনতার ভূমিকায় কতৃপক্ষ। করোনাকালীন
মহামারী সময় থেকে বর্তমানে দ্রব্য মূল্য উর্ধ্বগতি পরিস্থিতে আমরা পরিবার
পরিজন নিয়ে অসহায় মানবেতর জীবন যাপন করছি।
এব্যাপারে কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ^াস কলেজের ভারপ্রাপ্ত
অধ্যক্ষ আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, নন-এমপিও শিক্ষক ও কর্মচারি বেতন
ভাতা পাবার ব্যাপারে ডিজি মহাদয় ও কলেজ সভাপতির কাছে বিয়য়টি জানাতে পারে।
আমিতো পাঁচ মাসের বেতন দিয়েছি, এখন আমার মেয়াদ শেষ, বেতন দেয়া ব্যাপারে
বিধিতে নাই। এছাড়া আমি কলেজের অনার্স শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ও ফরম
ফিলাপ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করিনি। অনার্স এর ভর্তি ও ফরম ফিলাপ এর
টাকা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা আদায় করে থাকে। ভর্তি শেষে যে
অর্থ আদায় করা হয় তার হিসাব নিয়ম অনুযায়ি অধ্যক্ষের কাছে দিতে হয়। আমি
হিসাবের জন্য তাদের মৌখিত ও লিখিত চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও তারা আমার কাছে
হিসাব দেয়নি। বিষয়টি ইএনও মহোদয় অবগত আছেন।
এবিষয়ে কলেজ সভাপতি ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য
বলেন, আমি নন-এমপিও শিক্ষক ও কর্মচারি বেতন ভাতা পাবার ব্যাপারে যাচাই
বাচাই করে দেখব।