কলাপাড়ায় ৩০ বছরের সম্পত্তি দখল করে নেয়ার অভিযোগে মসজিদের মুয়াজ্জিমের সংবাদ সম্মেলন॥
রাসেল কবির মুরাদ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি; কলাপাড়ায় ৩০ বছরের সম্পত্তি দখল করে নেয়ার অভিযোগে মসজিজের মুয়াজ্জিম শুক্রবার বেলা ১১টায়
কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন । স্থানীয় চিহ্নিত ভূমি দস্যুদের অব্যাহত হুমকি-হামলার প্রানলাশের শংঙ্কায় আইনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে পরিজন নিয়ে। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর শহরের বড় সিকদার বাড়ি মসজিদের মুয়াজ্জিম সাইফুদ্দিন সিকদার। এসময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ৩০ বছর পর্বে ৩টি দলিলমূলে বর্তমান পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের এস এ ২০ ও ২১ নং খতিয়ানে ৬২১ ও ৬২২ নং
দাগে প্রকৃত মালিক আলতাফ হোসেন গংদের নিকট ০.৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে কাঁচা ঘর নির্মন করে বসবাস করছি। সেখানে পৌরসভা থেকে পানির লাইন, বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। এমনকি ১৭ বছর আগে গাছে বাগান ও পুকুর খনন করা হয়েছে। ২০১৬ সালে
নজরুল ইসলাম হাওলাদার গং হঠাৎ করে আমার বসতবাড়ির অংশ দখল করার পায়তারায় লিপ্ত হয়ে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এ ব্যাপারে ১১/১২/২০১৬ ইং তারিক স্মারক নং ৮৭ কলাপাড়া পৌরসভায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। পৌরমেয়র বিষয়টি স্থানীয়
কাউন্সিলর হাফজ মো: আল আমিন সিরদারের উপর দ্বায়িত্ব অর্পন করেন। ২৪/১২/২০১৬ ইং তারিখ কাউন্সিলর ও স্থানীয় সালিশ উভয় পক্ষের দলিলপত্র
পর্যলোচনা করে আমার দলিল, দখল আইন-কানুন ন্যায়সংগত বিধায় নজরুল হাওলাদার গং ভবিষ্যতে কোন দাবী করবেনা এবং শান্তিপূর্ন ভোগ দখলে যাতে থাকতে পারে এ মর্মে আপোষচুক্তি পত্র সম্পন্ন করে উভয় পক্ষের সম্মিলিত স্বাক্ষর রাখা হয়।
তিনি আরো বলেন, নজরুল ইসলাম ও তার দোসররা ভূমি দস্যু ও জবরদখলকারী। মানুষের জমি-জমা দখল করা তাদের নেশা ও পেশা স্থানীয় সালিশ ব্যবস্থা না
মেমে গায়ের জোরে ত্রাস সৃষ্টি করে থাকে। দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ০৯/০৯/ ২০২০ ইং তারিখ হঠাৎ কওে রাতের আধারে দলবদ্ধভাবে দেশীয় অস্রে সজ্জিত হয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে রোপনকৃত মেহগনি গাছের বাগনে একাধিক গাছে কেটে নিয়ে গেছে। অস্ত্রের ঝন-ঝনাতিতে এলাকার লোকজন টু-শব্দ করেতে পারেনি। এ সময় তার ছেলে ঘর থেকে বের হলে তাকে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করলে তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশিয় অস্রে হাতেনাতে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় একটি মামলা করেছি। যার নং ২৭৫/২০২০। এছাড়া
কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জজ আদালতে আরো একটি মামলা করেছি। যার নং ৩২২/২০২০। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক.ছাত্রলীগ কর্মী, কলাপাড়ার চাঞ্চল্যকর অভি হত্যা
মামলার এজাহারভূক্ত আসামীরা জামিনে এসে এমন ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে পৌর শহরের বড় সিকদার বাড়ি মসজিদের মুয়াজ্জিম সাইফুদ্দিন
সিকদার তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে আভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো নাটক। প্রকৃতপক্ষে জমির মালিক
আলতাফ হোসেন। সে আমাকে ২৮/১১/২০১২ ইং তারিখ পাওয়ার অফ এ্যাটনি রেজিস্ট্রিকৃত দলিল করে দেয়। দলিল নং ৬১৯৫/ ২০১২ ইং। আমি পাওয়ার অফ
এ্যাটনি রেজিস্ট্রিকৃত দলিলমূলে এই সম্পতির প্রকৃত মালিক। আমার জমি আমিই ভোগ করছি। তারা অসৎ উদ্দিশ্যে অন্যায়ভাবে অত্মাসাৎ করার জন্য আলতাফ
হোসেনের নাম ব্যাবহার করে জাল দলিল সৃষ্টি করেছে যার নং-৪০১১ এবং উল্টো আমাকেই তারা বেআইনীভাবে হয়রানী করছে।