কাউখালীতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দু:স্থদের ঘর নির্মানের নামে টাকা দাবীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের কাউখালীতে দু:স্থদের জন্য বরাদ্দকৃতঘর নির্মানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে টাকা নেয়া ও আরো টাকা দাবীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অসহায় নারী। আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে তিনি স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন। ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম সাহিদা বেগম। তিনি উপজেলার চিরাপাড়া গ্রামের সামসুল হকের স্ত্রী।
জানা গেছে, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ওই নারী পিরোজপুর জেলা পরিষদ থেকে একটি পাকা ঘর বরাদ্দ পান। ওই ঘরের নির্মান কাজের দায়িত্বে রয়েছেন কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী অভিযোগ করে জানান, দুস্থ হিসাবে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে তার নামে সম্প্রতি পিরোজপুর জেলা পরিষদ থেকে একটি পাকা ঘর বরাদ্দ হন। ওই ঘর নির্মানের জন্য কাউখালীর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন তার (নারী) বাড়ির কাছে নির্মান সামগ্রী রাখেন। ওই ইট তার (নারী) বাড়িতে নেয়ার জন্য তার কাছে ৭ হাজার টাকা দাবী করেন। ওই টাকা না দিলে কাজ করবেন না বলে হুমকী দেন। পরে তিনি তাকে (ভাইস চেয়ারম্যান) ৭ হাজার টাকা দেন। এর কয়েক দিন পর ইট কেনার কথা বলে আরও ৬ হাজার টাকা দাবী করেন ওই ভাইস চেয়ারম্যান। ওই নারী টাকা দিলে কাজ বন্ধ রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান। পরে নিরুপায় হয়ে তিনি ওই ৬ হাজার টাকা দেন। পরে ২-৩ দিন কাজ করে কাজ বন্ধ করে দেন। কাজ করতে বললে আবারও ৩০ হাজার টাকা লাগবে বলে ভাইস চেয়ারম্যান ওই নারীকে জানান। এর পরও ফোন দিলে ভাইস চেয়ারম্যানকে ওই নারীকে বার বার ফোন না দিতে বলেন এবং টাকা না দিলে কাজ কোন দিনও হবে না বলে ওই নারীকে জানান। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানান।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমনের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়। কাজের মেয়াদের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে। টাকা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, সাইডে রাজ মিস্ত্রি মজনু কে কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সে যদি কোনো টাকা পয়সা নিয়ে থাকে আমি ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অসুস্থতার কারনে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি সূত্র জানান, অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়েছেন।
চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লায়েকুজ্জামান তালুকদার মিন্টু জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগটি তদন্তের জন্য আমার কাছে পাঠিয়েছেন। যথাসময়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
পিরোজপুর জেলা পরিষদের নির্বাহী রেবেকা খান জানান, ঘর নির্মানের ব্যাপারে কোনো ধরনের টাকা বা মালামাল নেয়ার সুযোগ নাই, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে