স্টাফ রিপোর্টার – প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেককে ২ শতক সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান সহ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। এর প্রেক্ষিতে আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেওয়ে সুবিধাভোগীদের জন্যও নির্মাণ করা হচ্ছে ঘর। কিন্তু সেই তালিকা তৈরিতে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়,
দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মর্মে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে জমিসহ পাকাবাড়ি পাচ্ছেন দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো।
দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০” প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত নীতিমালার নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি বাড়ি দেয়া হবে। জেলা প্রশাসকগণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১ এবং ‘যার জমি আছে কিন্তু ঘর নাই’ এমন পরিবারের সংখ্যা ৫ লাখ ৯২ হাজার ২৬১। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারের প্রত্যেককে ২ শতক সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানসহ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ২১ জেলার ৩৬ উপজেলার ৪৪টি প্রকল্পে ৩ হাজার ৭১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৩ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনের মাধ্যমে সারা দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে এই ঘরগুলো তুলে দেয়া হবে।
দেশের কোন এলাকায় কতগুলো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেতে যাচ্ছে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই তা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় প্রেসব্রিফিং করে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণ। এরই ধারাবাহিকতায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করার কথা রয়েছে মোট ৮৮ টি। এরমধ্যে প্রথমধাপে ২০ টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৬৮ টি সুুুুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেওয়ে সেমিপাকা ঘর নির্মাণের পাশাপাশি যাদের নামে ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে, তাদের তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। ওই তালিকায় যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তাদের অনেকেরই ঘরবাড়ি রয়েছে বলে মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছে স্হানীয় লোকজন। এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান খাঁন জানান, কাকাইলছেওয়ে মোট ৫১ জন উপকারভোগীকে ঘর বন্দোবস্ত দেয়া হবে। তবে সরজমিন তদন্ত করে ২৪ থেকে ২৫ জনের ঘরবাড়ি রয়েছে, অর্থাৎ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে মিটিং রয়েছে। মিটিংয়ে এ নিয়ে আলোচনা হবে। তবে তালিকাভুক্ত ৫১ জনের মধ্যে ২৪ থেকে ২৫ জন উপকারকারভোগীর নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা আছে।