কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ছাত্রীকে ১০ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে এক ছাত্রীকে ১০ বছর ধরে ধর্ষণ করছে শিক্ষক এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক শিক্ষক কাইয়ূম চরতেরটেকিয়া মৌজা বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সে উপজেলার চরতেরটেকিয়া এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে।এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে ওই ছাত্রীর বাবা পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে এই বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় ওই ছাত্রী শিক্ষক কাইয়ূমের কাছে প্রাইভেট পড়ত। তখন ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন কাইয়ূম। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্কও গড়ে তুলেন তিনি। ২০১৫ সালে এসএসসি পাস করেন ছাত্রীটি। বর্তমানে তিনি একটি কলেজে ডিগ্রি ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত। তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে উপজেলার একটি গ্রামে ওই ছাত্রীটিকে বিয়ে দেয় তার পরিবার। এরপরও থেমে নেই কাইয়ূম। ওই ছাত্রীর মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। তিনি বিভিন্ন সময়ে মুঠোফোনে ওই ছাত্রীর স্বামীকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। পুনরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামীর সংসার ত্যাগ করে তার সঙ্গে চলে আসতে ওই ছাত্রীকেও প্রলুব্ধ করছিলেন শিক্ষক কাইয়ুম। ছাত্রীটি কয়েকদিন আগে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এই সুযোগে ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ওই শিক্ষক তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করেন তিনি। পরের দিন বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কাজীর মাধ্যমে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় কাইয়ূম।
এরপর ছাত্রী বাধ্য হয়ে বিষয়টি মুঠোফোনে তার বাবাকে জানায়। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ওই বাড়িতে উপস্থিত হন তার বাবা।গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে কাইয়ূমের বাবা নূরুজ্জামানকে চাপ দিলেও তিনি বিবাহ করাতে রাজি হননি। পরে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে পাকুন্দিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা।
ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে ওই বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় কাইয়ূমের কাছে প্রাইভেট পড়তো। এই সুযোগে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন কাইয়ূম। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেই। সেখান মেয়েটিকে সুখে থাকতে দেয়নি কাইয়ূম। ফুসলিয়ে একটি সংসার ভেঙ্গে মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।
পাকুন্দিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।