কিশোরীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য ও ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের, ধর্ষকসহ আটক ৪
আলী আজীম,মোংলা:
মোংলার সিগনাল টাওয়ার এলাকার এক কিশোরীকে দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করাসহ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়েরের পর ধর্ষকসহ পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অপরাধে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষিতা কিশোরী মোংলার সিগনাল টাওয়ার এলাকা মোহাম্মদ ইসমাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।
মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) তুহিন মন্ডল জানান, মোংলা পৌর শহরের সিগনাল টাওয়ার এলাকার জনৈক ব্যক্তির কিশোরী কন্যাকে ৬ মাস পূর্বে তার আত্মীয় শিউলি বেগম ও শারমিন বেগম কাজের কথা বলে শরণখোলার ধানসাগর এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর সেখানে ওই কিশোরীকে রেখে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে তারা। এরপর গত ১১ জানুয়ারী কিশোরীর মা-বাবা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মোংলায় নিয়ে আসে। সর্বশেষ তাকে দেলো পাটোয়ারী (৩০) তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর আগে বাড়ীতে রেখে এবং বিভিন্ন বাড়ীতে নিয়ে তাকে পতিতাবৃত্তি করায় তারা। কিশোরীকে তার পরিবার উদ্ধার করে আনার পর মঙ্গলবার(১২ই জানুয়ারী) থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরী। মামলা নং ৬/১২-০১-২১ইং।
মামলায় শারমিন বেগম (৩০), শিউলি বেগম (৪৫), পারভিন বেগম (৩৫), শিল্পী বেগম (৩৬), আলী হোসেন (৩৮), দেলো পাটোয়ারী (৩০) ও তায়েবা বেগম (৩০)কে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দেলো পাটায়ারী আর জোর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় তার আত্মীয় শারমিন, শিউলি ও শিল্পীকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার অপর আসামী ধর্ষক আলী হোসেন ও তায়েবা বেগম পলাতক রয়েছে। আটককৃতদের বাড়ী মোংলার কাইনমারী ও সিগনাল টাওয়ার এলাকায়। আটককৃতদেরকে বুধবার(১৩ই জানুয়ারী) সকালে বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।