কুষ্টিয়ায় করোনার টিকা কার্ড ও কনফার্মেশন ম্যাসেজ ছাড়াই ভিড় জমাচ্ছে টিকা কেন্দ্রে
কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকা নিতে আশা হাজারো মানুষের ভিড় সামাল দিতে ১২ তারিখ সোমবার সকাল থেকে কলকাকলী স্কুলে শিফট করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কলকাকলী স্কুলে শিফট করেও রক্ষা পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানেও উপচে পড়া ভিড়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের তুলনায় টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে মানুষকে। সকালে টিকা কার্যক্রম শুরু করার আগেই জড়ো হতে থাকেন হাজারো মানুষ। টিকা দেওয়া শুরু হয় সকাল ৯ টায়। বেলা বাড়ার সঙ্গেই ধারণক্ষমতার অধিক মানুষ জড়ো হন হাসপাতালের সামনে। অবশেষে সোমবার সাড়ে ১০টার দিকে টিকা কেন্দ্র পরিবর্তন করে পাশের কলকাকলী স্কুলে নেওয়া হয়।
সোমবার সকালে সরেজমিনে কলকাকলি স্কুলে গিয়ে দেখা যায় টিকা নিতে আসা অধিকাংশ ব্যক্তিদের হাতে কোন টিকা কার্ড নেই, নেই কোন কনফার্মেশন ফিরতি ম্যাসেজ। তারা সকলেই রেজিস্ট্রেশন করেছেন ঠিকই কিন্তু নেই কোন ফিরতি কনফার্মেশন মেসেজ। তবুও তারা টিকা গ্রহণের জন্য অহেতুক ভিড় জমাচ্ছে।
মানুষের চাপ বাড়ায় টিকা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। মানছেনা সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। অন্যদিকে টিকা নিতে আসা অনেকে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকা না পাওয়া এবং ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
অহেতুক ভিড় ঠেকাতে অবশেষে সোমবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে কলকাকলি স্কুলে। উক্ত প্রশাসনের কাছে টিকা দেওয়ায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছেন সাধারণ জনগণ। অবশেষে প্রশাসন বাধ্য হয় সকলের কনফার্মেশন মেসেজ ও টিকা কার্ড চেক করতে। দেখা গেছে শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষের কাছে কোন টিকা কার্ড ও কনফার্মেশন মেসেজ নেই। অহেতুক তাদের এই ভীড় জমানোকে কেন্দ্র করে তাদেরকে ফাঁকা করে দেন। এতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মানুষের উপস্থিতির কারণে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিকাদান কেন্দ্র সরিয়ে নিলেও সেখানেও ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। অবশেষে টিকা নিতে আসা সকলের কনফার্মেশন মেসেজ ও টিকা কার্ড চেক করতে বাধ্য হন পুলিশ ও সেনাবাহিনী।