কুয়াকাটায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে তেমন পর্যটক না থাকায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা হতাশ
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : কুয়াকাটায় প্রতি বছরই শেষ সূর্যাস্ত ও প্রথম সূর্যোদয় উপভোগ করতে বরাবরই আগমন ঘটে হাজারো পর্যটকদের। এ উপলক্ষে বাড়তি চাপ তৈরি হয় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায়। তবে প্রতিবছরের মতো এবছর হোটেল-মোটেল ও ব্যবসায়ীদের আগাম প্রস্তুতি থাকলেও তেমন সারা নেই পর্যটক আগমনের। তাই পর্যটন ব্যবসায়ীরা হতাশ।
রবিবার সকাল থেকে দিনভর সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায়, হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন স্পটসহ বিভিন্ন স্থানকে রঙ্গিন লাইট, বেলুন দিয়ে সাজিয়ে নতুনকে স্বাগত জানাতে বেশীরভাগ হোটেল ধোয়া-মোছা করে পরিপাটি করে রেখেছেন তবে কাঙ্খিত বুকিং না পেয়ে হতাশ বেশীরভাগ হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, থার্টি ফার্স্ট নাইটের কাছাকাছি কোনো সরকারি বন্ধ না থাকা এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে প্রথম শ্রেণীর হোটেলগুলোতে ৩০% বুকিং হয়েছে তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেনীর হোটেলগুলোতে কোন প্রকার অগ্রিম বুকিং না থাকায় কাঙ্খিত পর্যটক থেকে বঞ্চিত হবার আশঙ্কা পর্যটক ব্যবসায়ীদের।
হোটেল সৈকতের সত্বাধিকারী শেখ জিয়াউর রহমান জানান, গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হরতাল-অবরোধের ধাক্কায় থার্টি ফার্স্টের মতো বড় বাজারেও আমরা লোকসান দিচ্ছি। এ মুহুর্তে আমাদের রুম খালি যাচ্ছে যা করোনাকালীন সময়ের পরে এই প্রথম।
হোটেল মোটেল ওনার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, বছরে যতোগুলো বন্ধে কুয়াকাটায় পর্যটকে টইটুম্বুর থাকে তারমধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট অন্যতম। তাই এই বন্ধকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক আয়োজন থাকে তবে আকাঙ্খার ২০ শতাংশও বুকিং হচ্ছে না। যে কারনে হোটেল মালিক ও পর্যটকদের সেবা দেয়া ২৬টি পেশার মানুষ এখন হিমশিম খাচ্ছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পুরো ডিসেম্বর জুড়ে পর্যটকদের চাপ। তবে বর্তমানে কিছুটা কম তারপরেও সার্বিকভাবে আমরা তৎপর রয়েছি। যাতে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, আসলেই প্রতিবারের মতো আজকে পর্যটক অনেক কম। বিএনপি-জামাতের হরতাল-অবরোধে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য থার্টি ফাস্ট নাইটেও পর্যটন ব্যবসায়ীরা হতাশ।