কুয়াকাটায় সিকদার রিসোর্টের অবৈধ বীচ ক্লাব ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলো পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন ॥

প্রকাশিত: ১২:০২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২২

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  :  পর্যটন নগরী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে
সিকদার রিসোর্টের অবৈধ স্থাপনা বীচ ক্লাব গুড়িয়ে দিলো পটুয়াখালী জেলা
প্রশাসন। শুক্রবার বিকেলের দিকে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। আত্মপক্ষ
সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাস
কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান ও
নঈম উদ্দিন এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য উপস্থিত ছিলেন। এ উচ্ছেদ অভিযানে মহিপুর
থানা পুলিশ সহায়তা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পুর্বদিকে জাতীয় উদ্যান
সংলগ্ন বীচ ক্লাব নামে একটি কফি হাউজ নির্মাণ করে সিকদার গ্রুপ। সৈকতের
কোল ঘেষে গড়ে তোলা এই স্থাপণাটি অবৈধভাবে সরকারী জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে স্থাপনাটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসন জানায়, কুয়াকাটা বেড়ীবাধেঁর বাইরে ৭৩ একর জমি নিয়ে সরকার
বনাম পাবলিকের সাথে ৫০ বছর ধরে আদালতে মালিকানা দাবী নিয়ে মামলা চলে
আসছিল। বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর এ মামলায় সরকারের পক্ষে রায় দেন জেলা জজ
আদালত। এই রায় কার্যকর করতে শুক্রবার সৈকতে সিকদার গ্রুপের এ অবৈধ
স্থাপণাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।

সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাসের ল্যান্ড বিষয়ক সমন্নয়কারী রুমী ইমরোজ রশীদ
বলেন, সিকদার গ্রুপ কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মনির আহম্মেদ
ভূইয়া গংদের কাছ থেকে দেড় একর ভূমি ক্রয় করে। পর্যটকদের বিনোদনের কথা
বিবেচনা করে ক্রয়কৃত জমিতে বীচ ক্লাব নামে একটি কফি হাউজ নির্মাণ করা হয়।
যা সম্পুর্ণ বৈধভাবে করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন কোন পুর্ব নোটিশ ছাড়াই
আত্মপক্ষ সমর্থনের সূযোগ না দিয়ে তাদের কোটি টাকার স্থাপনাটি ভেঙ্গে
ফেলে।

এবিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল
হাসান ও মো. নঈম উদ্দিন বলেন, সিকদার গ্রুপ সৈকতে সরকারী জমিতে অবৈধভাবে
এ স্থাপনাটি নির্মাণ করেছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্থাপনাটি উচ্ছেদ
করা হয়েছে। সরকারী জমি উদ্ধারে এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তারা
জানান ।




error: Content is protected !!