ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার দায়ে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার ৩১ বছর কারাদণ্ড
মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে দুদকের দায়ের করা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা, জালিয়াতি ও টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী ফেনী শাখার তিন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ধারায় ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসাথে আসামিদের ৮১লাখ টাকা অর্থদণ্ডও প্রদান করা হয়।সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে জেলা জজ আদালতের বিশেষ জজ (জেলা জজ) এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় প্রদান করেন।দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী শাখার ম্যানেজার মো. রহিম উল্যাহ খন্দকার, শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম ও সহকারি অফিসার মো. মিজানুর রহমান।দুদকের করা দুর্নীতি মামলায় আদালত প্রত্যেকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রতারণার দায়ে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সাব রেজিস্ট্রার, সোনাগাজীর দলিল রেজিস্ট্রিতে প্রাপ্ত টাকা সরকারি খাতে জমার জন্য সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে একত্রে চালানে পে-অর্ডার নম্বর, টাকা ও তারিখ উল্লেখ করে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়।দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন জমাকৃত ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ১৬৫ টাকার ১৬৬টি পে-অর্ডার সরিয়ে রেখে পরবর্তীতে নগদে উত্তোলন, পে-অর্ডারের টাকার অংক বাড়িয়ে নগদে উত্তোলন ও সরকারি খাতে জমার জন্য চালানের সাথে ফেরত আসা পে-অর্ডার গায়েব করে নিজেরা গ্রাহকের ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। পরে এ ঘটনায় দুদক নোয়াখালীর সহকারি পরিচালক নুরুল ইসলাম সরকার বাদি হয়ে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান দুদক নোয়াখালীর তৎকালীন সহকারি পরিচালক মো. মশিউর রহমান।
দুদকের পিপি মো. আবুল কাশেম জানান, রেজিস্ট্রি অফিসের পে-অর্ডারের সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত চারটি ধারায় ৩১ বছরের কারাদণ্ড ও ৮১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।