কয়রায় ঘাটাখালি বেঁড়িবাঁধে হাজার হাজার জনতার সাথে কাজ করলেন “এমপি বাবু”
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ খুলনার উপকূলীয় এলাকা কয়রা উপজেলার ঘাটাখালি বেঁড়িবাঁধ বুধবার সংসদ সসদস্য আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান বাবুর উপস্থিতিতে হাজার হাজার জনতা সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিং বাঁধ দিয়ে আটকালেন জোয়ারের পানি। উল্লেখ্য গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের উচ্চ জোয়ারের পানিতে ঘাটাখালি ও ২ নং কয়রা কপোতাক্ষ নদীর বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে কয়রা উপজেলা পরিষদ সহ ৯টি গ্রাম লবন পানিতে ভেসে যায় এবং জোয়ার ভাটা অব্যহত থাকে। এরপর সপ্তাহকাল স্থানীয় হাজার হাজার জনতা সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গত ৩০ মে রিং বাঁধ দিয়ে জোয়রের পানি আটকাতে সক্ষম হয়। কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক কোন্দলে কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত ও স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যের স্বামী রফিক সিরাজকে কতিপয় সন্ত্রাসী মারপিট করায় রিং বঁাধ সংস্কারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ২ জুন রাতে জোয়ারের পানিতে এবার রিং বাঁধ ভেঙ্গে পুনরায় প্লাবিত হতে থাকে উপজেলা সদর সহ ৯ টি গ্রাম। এদিকে ঘাটাখালি বাঁধ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এমন খবর জানার পর কয়রা-পাইকগাছার জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান বাবু ৯ জুন মঙ্গলবার কয়রা উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, কয়রা সদর ও মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার উপস্থিতিেিতে এক জরুরী বৈঠকে বুধবার রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক বিভিন্ন মসজিদের মাইকে এবং ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে বুধবার সাধারণ মানুষকে সকাল ৬ টার মধ্যে বাঁধে হাজির হতে অনুরোধ করা হয়। অতঃপর বুধবার প্রায় ৮ হাজার সাধারণ মানুষ সকাল ৭ টার মধ্যে বাঁধে হাজির হয়ে রিং বাঁধের কাজ শুরু করে এবং দুপুর ১২ টার মধ্যে পানি আটকাতে সক্ষম হয় এবং এসময় সংসদ সদস্য বাঁধে উপস্থিত হয়ে নিজেই বাঁধে কাজ করে উৎসুক জনতাকে উদ্বুদ্ধ করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বাঁধে কর্মরতদের সার্বিক সহযোগিতা করায় দ্রুত পানি আটকানো সম্ভব হয়েছে। এদিকে বাঁধে কর্মরত সাধারণ জনতার উদ্দেশ্যে মাননীয় সংসদ সদস্য বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাই জননেতা শেখ হেলাল এমপি কয়রা বেঁড়িবাঁধের বিষয়ে সার্বক্ষনিক খোজখবর নিচ্ছেন এবং দ্রুত কয়রায় ক্ষতিগ্রস্থ সকল বাঁধ সংস্কার করার জন্য অর্থ বরাদ্ধের আশ্বাস দিয়েছেন