মোঃ ইউসুফ শেখ ,খুলনা প্রতিনিধি।।
মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ কম হলেও মৃত্যুর মিছিল প্রতিনিয়ত রের্ক ড ভাঙ্গছে। দেশে গত ১লা এপ্রিল থেকে আজ ৫ এপ্রিল পর্য ন্ত মৃত্যুু বরণ করেছে ২৭২ জন যা বিগত দিনের সকল রের্ক ড ছাপিয়ে গিয়েছে। মৃত্যুর এবং আক্রান্তের দিক থেকে পিছিয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের বিভাগীয় শহর খুলনা। তারই ধারবাহিকতায় করোনা সংক্রমণ প্রভাব কমিয়ে আনতে খুলনায় কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে লকডাউন প্রক্রিয়া। সকাল থেকে শহরের সবখানে সাধারণ মানুষের আনাগোনা ছিল কম। অধিকাংশ দোকানপাঠও বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার পরিবহনও।অপরদিকে লকডাউনের প্রথম দিনেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় ৪৮টি মামলা ও ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলীর তত্ত্বাবধানে জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণকল্পে অভিযান পরিচালনাকালে আজ সোমবার এ মামলা ও জরিমানা আদায় করা হয়।
নগরীর সব থেকে ব্যস্ততম রুপসা ঘাটে সাধারণ মানুষের আনাগোনাও ছিলো কম। নগরীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায় প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না । ফুলতলা, শিরোমনি, দৌলতপুর , খালিশপুর এবং শহরের প্রাণ কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা ছিল খুবই কম।এছাড়া মসজিদ, মন্দীর, গির্জাসহ সকল গুরুত্বপূর্ন জায়গায় হাত ধোয়ার জন্য সাবান পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনসচেতনার লক্ষ্যে হ্যান্ড মাইক ও ইলেকট্রিক মাইকে নির্দেশনা প্রদাণ করছেন প্রশাসন সহ কিছু অঙ্গসংগঠন।জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, করোনা ভাইরাসজনিত রোগের বিস্তার রোধে সোমবার থেকে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিতকল্পে খুলনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলাসমূহে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)। একই সময়ে মহানগরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।