কে এম শাহীন রেজা, জেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া ॥
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার আবারো বন্ধ হতে চলেছে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বহুল প্রতীক্ষিত অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার বসানো হয়। তারপর থেকে বিভিন্ন ধরনের অপারেশন ও গাইনি সিজারিয়ান অপারেশনের রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসতে থাকে। কিন্তু বিধি বাম গাইনি কনসালটেন্ট ডাক্তার ফারহানা মনসুর ঝুমুরের অনিয়মিত আসা-যাওয়া, এবং আসলেও কম সময় উপস্থিত থাকার কারণে চিকিৎসা সেবা ও অপারেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। এছাড়াও যেদিন হাসপাতালে উপস্থিত হন সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয়টি রোগী দেখে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান বলে অভিযোগ করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গাইনি রোগীরা।
উল্লেখ্য উক্ত হাসপাতালে রবি ও বুধবার সিজারিয়ান অপারেশন চালু থাকলেও ডাক্তার না থাকায় রোগীর চেকআপ ও প্রস্তুত না করতে পারায় গত তিন মাসে মাত্র ১৫টি সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে। গাইনি রোগীরা হাসপাতালে এসে ডাক্তারকে না পেয়ে অধিক খরচে ক্লিনিকে সেবা নিতে হচ্ছে ফলে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গাইনি রোগীরা। গাইনি কনসালটেন্ট ডাক্তার ফারহানা মনসুর ঝুমুর তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিরপুর হাসপাতালে যোগ দেন। হাসপাতালে ঠিকমত সেবা না দিলেও কুষ্টিয়া শহরের পপুলার ও ট্রমাতে নিয়মিত রোগী দেখছেন বলে সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ডাক্তার ফারহানা ঝুমুর বলেন, মাঝে মাঝে অসুস্থ থাকার কারনে অনুপস্থিত থাকতে হয় আমাকে। তবে কম সময় অফিস করার বিষয় অস্বীকার করেন তিনি। তিন মাসে মাত্র ১৫ টি সিজার হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার পীযূষ কুমার বলেন, উনার রেগুলার পোস্টিং এখানে। প্রতিনিয়তই উনার অপারেশন ছাড়াও এখানে সেবা দেয়ার কথা রয়েছে। আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে এবং শুনেছি উনি হাসপাতলে এসে কম সময় উপস্থিত থাকেন এতে অনেক রোগী ফিরে যান। এমন অভিযোগ রয়েছে কিন্তু হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকে বিষয়টি আপনাদের থেকে শুনলাম বিষয়টি হাজিরা খাতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি অনেক কিছুই জানি অভিযোগ দিতে বলেন, বিষয়টি দেখব।