লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে মোসা. নাজমা বেগম (২৮) নামের এক
গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার
ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের দিঘীর পাড় এলাকার খনকার বাড়ি
থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নাজমা ওই ইউনিয়নের চতলা
গ্রামের প্রবাসী রতন মাঝির মেয়ে।
মৃত নাজমার দাদা কাঞ্চন মাঝি জানান, বিগত ৭ বছর আগে
দিঘীর পাড় এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে শাহিনের কাছে
পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩ বছরের
একজন ছেলে সন্তান রয়েছে। শাহিন খনকারী করার কারণে তার
কাছে মহিলারা আসতো। এনিয়ে সন্দেহ করতো নাজমা। যার
জন্য তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। শনিবার সকালে
আমাদেরকে এসে নাজমার মৃত্যুর খবর জানায় তার দেবর।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা গিয়ে দেখি নাজমার মরদেহ
নিচে নামিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তার স্বামীকে বাড়িতে
পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে পুলিশ গিয়ে নাজমার মরদেহ থানায়
নিয়ে আসে।
লালমোহন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শক্তিপদ মৃধা
জানান, স্থানীয় গ্রাম পুলিশ নাজমার মৃত্যুর বিষয়টি
আমাদের জানান। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি নাজমার মরদেহ
নিচে নামিয়ে রাখা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ওই
বাড়ির লোকজন জানিয়েছে নাজমা ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না
পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। নাজমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তার
স্বামী শাহিন মরদেহ নামিয়ে রেখে পালিয়ে যায় বলে
আমাদেরকে জানায় ওই বাড়ির লোকজন।
এব্যাপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে
থানায় নিয়ে আসে। পরে লাশের ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর
হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট
আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।