নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক:

ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আবহাওয়া বিভাগের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঝড়টি গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরও দুর্বল হয়ে উত্তরদিকে সরে যাচ্ছে।

রাজশাহী-পাবনা অঞ্চল অতিক্রম করে এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে। তবে এর প্রভাবে এখনও সাগর উত্তাল আছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় ঝড়ো বাতাস বইছে।

আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বায়ুর চাপের তারতম্য ও অমবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বারিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং এগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে ছয় ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই এলাকার ওপর দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে আম্পান স্থলভাগে উঠে যাওয়ায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত তুলে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকেও ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।