এ জি মুন্না- নীলফামারী প্রতিনিধি, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার নেকবক্ত দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্ক (ল্যাব এসিস্ট্যান) ও কম্পিউটার ল্যাব এসিস্ট্যান পদে নিয়োগ দেয়ার অনিয়ম দেখা যায়। মঙ্গলবার ৭জুলাই বিকালে নীলফামারী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) সেন্টারের অধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউর রহমানের অফিস কক্ষে নেকবক্ত দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এ দুটি পদে ০৮ জনের পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগেই বাইরের, তাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ মুসা এলাকার হাবিবুর রহমান, হাজিরহাট ভেড়ভেড়ী এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম ও একই উপজেলার উত্তর দরাকুটি এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে রেজাউল ইসলামকে পরীক্ষা দিয়ে বের হতে দেখা যায়। এসব প্রার্থীর বাড়ি নেকবক্ত বাজার থেকে ২৫-৩৫ কিলোমিটার দুরে।
তবে এই তিনজনের মধ্যে একজন নাম না লেখার সর্তে বলেন, নামে মাত্র পরীক্ষা দিলাম, যাদের হওয়ারতো হয়েছে, আমাদেরকে পরীক্ষায় এনেছে “শো” দেখাতে। পরীক্ষা দিতে আসা নাম বলতে না চাওয়া অন্য এক প্রার্থী জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতিকে বলছিলাম আমাকে চাকরীটি দেয়ার জন্য। কিন্তু আমি অত টাকা ধরতে পারিনি, তাই হবে না।
কেউ কেউ বলছে, নেকবক্ত দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল দুই প্রার্থীর নিকট লক্ষলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অনিয়মের মধ্যে নিয়ম এই দুই নিয়োগ বাণিজ্য।
বিদ্যালয়ের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুকুল, হটাৎ করে লুকিয়ে, সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্ট প্রকল্পের অর্থায়নে একটি কম্পিউটার ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ও একটি জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ল্যাব এসিস্ট্যান্ট পদে নাটকীয় পরিক্ষা হয়, যেখানে পরিক্ষা সেখানেই ফলাফল।
নিয়োগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুকুল বলেন, আমি কিছু বলতে পারবোনা, কিছু করার থাকলে করেন, আপনারা পারলে নিউজ করেন।
গত বছরের নিয়োগ পরিক্ষা এখন করোনা মুহূর্তে নেয়া হলো, এটা বুঝতে পারিনি ” কথা গুলো বললেন, জলঢাকা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক। তিনি পুনরায় বলেন,”২০১৯ সালের নিয়োগ পরিক্ষা, আজকে হলো, দুইটি পদে ৪জন করে ৮জন প্রার্থীর মধ্যে লিখিত পরিক্ষা হয়”।
ডিজি প্রতিনিধি, নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, ” আমাকে ডেকেছেন, আমি এসেছি, পরে আপনাদের সাথে কথা বলবো ” এই বলে তিনি সটকে পড়েন।