টমটম চালক তাজুল হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন ॥ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা

প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২১

মোঃজামাল হোসেন লিটন,চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ চুনারুঘটে টমটম চালনার সিরিয়াল নিয়ে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে আফিল উদ্দিনের পরিকল্পনায় তার সহযোগী মিজান ১৫০ টাকায় চুনারুঘাট দক্ষিণ বাজারের স্ট্যান্ড থেকে তাজুল ইসলাম কে চান্দপুর বাজারের কথা বলে ভাড়া করে নিয়ে যায়। মিজান তাজুলকে বলে তার টমটমটি বিকল হয়েছে গিলানী চা বাগানে তার টমটমটি টেনে আনার কথা বলে তাজুল কে ওখানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গলায় রশি বেঁেধ আফিল উদ্দিন অজ্ঞাত সহযোগীদের নিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তাজুল ইসলাম (১৪) কে। পরে তার টমটমের ব্যাটারি খুলে নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ একটি দোকানে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করে মিজানকে ১৯ হাজার টাকা প্রদান করে। গতকাল রবিবার সন্ধায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক ১৬৪ ধারায় আসামি মিজানের জবানবন্দি গ্রহন করেন। পরে রাত ৮টায় তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। আটককৃতরা হলেন উপজেলার কালিচং এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে নয়ন (১৯)। মুল পরিকল্পনাকারী সদর ইউনিয়নের গোলগাল গ্রামের মৃত মস্তই মিয়ার ছেলে আফিল উদ্দিন (৩০) । আফিল উদ্দিন বর্তমানে পৌরশহরের চন্দনা এলাকায় বসবাস করছেন। উল্লেখ্য গত ২৫ জুন চুনারুঘাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মো: আলফু মিয়ার ছেলে মো. তাজুল ইসলাম (১৪) ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। রাতে বাড়ি না ফেরায় তার পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। পরদিন ২৬ জুন সাংবাদ মাধ্যমে জানতে পারেন গত ২৫ জুন বিকেল সাড়ে ৫টায় গিলানী চা-বাগানের অভ্যান্তরে গলায় রশি পেছানো মৃত অবস্থায় লাশটি পড়ে থাকে। স্থানীয়রা চুনারুঘাট থানা পুলিশকে খবর দিলে চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ আলী আশরাফ লাশটি উদ্ধার করেন। পরে এসআই আব্দুল মোতালেব সুরতহাল করে লাশটি হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন। ২৬ জুন শনিবার দুপুরে লাশের পরিচয় পাওয়া গেলে লাশটি স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করা হয়। এরপর তার পিতা আলফু মিয়া বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের ৭ দিনের মধ্যে হত্যার রহস্য উন্মোচন ও আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক আফিল উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আনেদন করা হয়েছে। চালক তাজুলের পারিবারিক সুত্র জানায়, আফিল উদ্দিন কিছুদিন টমটমের সিরিয়াল ম্যান এর দায়িত্বপালন করাকালে সিরিয়াল নিয়ে ঘটনার প্রায় মাস খানেক পুর্বে আফিল উদ্দিনের সাথে চালক তাজুলের বাকবিতণ্ডা হয়। এনিয়ে বিচার শালিশও হয়েছে। এরপর থেকে তাজুলকে হত্যা করতে পরিকল্পনা করে আফিল উদ্দিন। তাজুলের পিতা আলফু মিয়া ছেলে হত্যায় জড়িতদের বিচার চান।




error: Content is protected !!