টাঙ্গাইলে প্রথমে সন্তান বিক্রি পড়ে যৌতুকের দাবিতে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন
আলামিন খান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সিলিমপুর ইউনিয়নের খারজানা এলাকায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে খুঁটির সাথে বেধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে গৃহবধূর স্বামী, তার ভাই ও পরিবারের বিরুদ্ধে। গৃহবধূ অসুস্থ অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে গৃহবধুর মা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় গৃহবধুর স্বামীকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে নারী নির্যাতন মামলা করেছে। এখনও অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে অভিযুক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
নির্যাতিতা জানায়, দীর্ঘ দিন পূর্বে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সিলিমপুর ইউনিয়নের খারজানা এলাকার মৃত বিশা মিয়ার ছেলে আশরাফের সাথে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর তাদের সংসার কিছু দিন ভালই কাটছিলো। কিন্তু সেই সুখ স্থায়ী হলোনা। কিছুদিন যেতে না যেতেই সংসারে অভাব অনটন দেখা দেয় তাদের। এরপর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেয়ার কথা বলে প্রতিনিয়োতই শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় পাশান্ড স্বামী আশরাফ। নির্যাতিতা গৃহবধূ যৌতুক এনে দিতে না পারায় একপর্যায়ে গত ৬মাস পূর্বে তার দেড় মাসের শিশুকে ২০হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। তাতেও খান্ত হয়নি তিনি। শুক্রবার গৃহবধূকে আবারো তার বাবার বাড়ি থেকে ২লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় পাশণ্ড স্বামী তার বড় ভাইসহ পরিবারের অন্যান্যরা তাকে খুঁটির সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালায়।
স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলেও তারা কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি। পরে স্থানীয়রা নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দেখালে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি করে। এদিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান সাদেক আলী, এমন নির্যাতনের তীব্র নিন্দা এবং একই সাথে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, এব্যাপারে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে নারী নিয়াতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় হবে।