টানা সাড়ে ১১ ঘন্টা চেষ্টার পর মোংলা ইপিজেড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত: ১১:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০

আলী আজীম,মোংলাঃ

টানা সাড়ে ১১ ঘন্টা চেষ্টার পর মোংলা ইপিজেড অভ্যন্তরের সুতার তৈরির কারখানার তুলার গোডাউনে লাগা আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। সোমবার(২৮ডিসেম্বর) ভোর ৬ টা ১০ মিনিটের দিকে লাগা আগুন নিভাতে কাজ করে বাগেরহাট, মোংলা, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, নেভী ও ইপিজেডের ফায়ার সার্ভিসের পৃথক পৃথক টিম। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিভে গেলেও এখনও সেখান থেকে বের হচ্ছে ধোয়া, মাঝে মধ্যে দেখা যাচ্ছে আগুনের ফুলকিও। এদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ। ইপিজেডের ডেপুটি ম্যানেজার মো: জহিরুল ইসলামকে প্রধান করে করা তদন্ত কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিবেন বলে জানিয়েছেন ইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজার মো: মাহাবুব আহমেদ ছিদ্দিক। তিনি জানান, ভোরে ইপিজেডের গুয়াংজু হুয়াস্যাং সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ফ্যাক্টরীর গোডাউনে আগুন লাগে। গোডাউনে থাকা তুলায় আগুন ধরে তা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এরপর তাৎক্ষনিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের ইপিজেড ইউনিট, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনিট ও নৌবাহিনীর ইউনিট আগুন নিভাতে শুরু করে।এরপর বাগেরহাটের একটি ইউনিটও আসে আগুন নিভাতে। দীর্ঘ সাড়ে ১১ ঘন্টা প্রচেষ্টার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভানো সম্ভব হয়েছে। তারপরও মাঝে মধ্যে ধোয়া ও আগুনের ফুলকি দেখা যাচ্ছে। তবে ভোরে লাগা আগুন দুপুরের পরপর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আগুন কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কারখানা মালিকপক্ষের হিসাব ছাড়া জানানো সম্ভব নয়। আর এই মুহূর্তে বিদেশী ওই মালিকপক্ষও টেনশন এবং আগুন নিভানো নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই অগ্নিকান্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে একটি তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তারাই আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রকৃত কারণ ও পরিমাণ জানাতে পারবেন। সুতা তৈরির কারখানার তুলার গোডাউনে আগুন লাগে, তবে সেখানে কোন লোকজন না থাকায় কেউ হতাহত হয়নি।




error: Content is protected !!