আবু জাহান তালুকদার, সুনামগঞ্জঃ
শেষ রক্ষা হলোনা তাহিরপুর উপজেলার বর্ধিত গুরমার হাওরের ২৭ নং পিআইসি’র ফসল রক্ষা বাঁধের। বর্ধিত গুরমা হাওরের ওই বাঁধটি রক্ষার্থে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসীকে নিয়ে গত ১০/১৫ দিন আপ্রাণ চেষ্টায় রক্ষা হলো না বাঁধের।
রবিবার বিকাল ৪টার দিকে বর্ধিত গুরমা হাওরের ২৭ নং পিআইসি বাঁধটি ভেঙ্গে প্রবল স্রোতে হাওরে ঢুকছে পানি।
জানাযায়, গত কয়েকদিনের অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে পাটলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর সংলগ্ন গুরমার হাওরের ২৭ নং পুআইসি’র ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে হাওরে ঢুকতে থাকে পানি। আজ রবিবার টাঙ্গুয়ার হাওরে পূর্ব পাশের বর্ধিত গুরমার হাওরের পুরনো বাঁধ উপচে প্রথম হাওরে পানি ঢুকে। রবিবার সকল ৮ টার দিকে প্রচন্ড বেগে বাঁধের উপর দিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করার কারণে প্রবল স্রোতে বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার আতংকে ছিলেন স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে বাঁধের উপর দিয়ে হাওরে যাতে পানি ঢুকতে না পারে তা আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে বাঁধের উপর দিয়ে হাওরে পানি ঢুকা বন্ধ করলেও শেষ রক্ষা হলোনা বর্ধিত গুরমা হাওরের ২৭ নং পিআইসি’ ফসল রক্ষা বাধঁটি। দুপুরে পাহাড়ি ঢলের পানি আর পাঠলাই নদীর পানির প্রবল চাপে শেষে ২৭ নং পিআইসি’র ফসল রক্ষা বাঁধ প্রবল স্রোতে হাওরে ঢুকছে পানি। এতে করে তলিয়ে যাবে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমি বোরোধান জমি।
এতে টাঙ্গুয়ার হাওরে বর্ধিত গুরমা অংশের খাউজ্যাউরি, নোয়াল, আইন্যা, কলমা ও গলগলিয়া ও ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুন্ডা এলাকার হাওরগুলো পানিতে তলিয়ে যাবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রায়হান কবির বলেন, ভোর সকল থেকেই আমরা এখানকার জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে ২৭ নং বাঁধটি রক্ষার্থে সবাই মিলে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কিন্তু গত কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও প্রতিনিয়তই উজানের পাহাড়ি ঢলের আসায় পাঠলাই নদীর পানি বাড়ার কারণে গুরমার হাওরের ফসল রক্ষা( পুরনো বাঁধের) উপর সহ বাঁধের আশপাশের নিচু জায়গা দিয়ে সকালে প্রবল বেগে হাওরে পানি ঢুকে পড়ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয়দের নিয়ে আমরা তা আটকাতে সক্ষম হই। কিন্তু পানির প্রবল চাপে ২৭ নং পিআইসির ফসল রক্ষা বাঁধটি ভেঙে যায়। তবে হাওরে যাতে পানি ঢুকতে না পারে আবার লামাগাও বাজার সংলগ্ন বিকল্পবাঁধ দেয়ার চেষ্টা করছি।