সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ১নং শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারে মোবাইলে লুডু খেলা এখন জুয়ায় পরিণত হয়েছে।এক সময় যে লুডু র্বোড ছিল কাগজের তৈরি এখন তা মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
এ মোবাইলের মাধ্যমে চলছে জেলা উপজেলার বাজার গুলোতে ডিজিটাল জুয়া। স্মার্টফোনে লুডু কিং নামে একটি অ্যাপ ইনস্টল করে সর্বোচ্চ আটজন মিলে এ খেলা খেলতে পারেন।
শ্রীপুর বাজারের প্রতিটা চা দোকানের মালিক তার ব্যক্তিগত মোবাইলের ভাড়া নিচ্ছেন প্রতি গেইমে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,১নং শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারে প্রতিটি চায়ের দোকানে অবাধে ও অপেন ভাবে লুডু খেলা হচ্ছে দেখার কেউ নেই, আর চা খেতে এসে দোকানে লুডু খেলা জুয়াড়িদের উত্তেজনার শিকার হচ্ছেন স্হানীয় জনমহলের সচেতন ব্যত্তিরা। তাই স্হানীয় এলাকাবাসী প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ খেলার ধরন রয়েছে দু প্রকার।একটি অনলাইনের মাধ্যমে অপরটি একটি মোবাইলে একসঙ্গে বসে খেলা।
তবে অনলাইন ছাড়া একসঙ্গে চারজনের খেলার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।
চারজন মিলে খেললে একেকটি গেম শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ৩০,মিনিট প্রতি গেইমে বাজি ধরা হয়।১০০-৫০০টাকা কোনো কোনো ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ আরও বেশি হয়।
নাম প্রকাশ করা অনিচ্ছুক একব্যক্তি জানান তিনি পেশায় মোটরসাইকেল চালক ছিলেন একসময় নিয়মিত মোবাইল ফোনে লুডু কিং এর মাধ্যমে জুয়া খেলতে খেলতে এমন নেশা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত আয়ের উৎস মোটরসাইকেলটিও বিক্রি করে দিতে হয়েছে এখন তিনি বেকার।
উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান বলেন,এসব জুয়াড়িরা যখন সর্বস্ব হারিয়ে ফেলে তখন তারা সামাজিক নানান প্রকার অপরাধে জড়িয়ে পরে। তাই এ ধরনের জুয়া বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেয়া দরকার।
স্থানীয় এলাকাবাসী সচেতন ব্যক্তিরা বলেন,এই মোবাইল লুডু জোয়া খেলা এখন চুরি ডাকাতি ও সামাজিক বিভিন্ন অপকর্মের প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই এলাবাসীর একমাত্র জোর দাবি প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন,এ ধরনের জুয়া খেলা হাতেনাতে কাউকে ধরতে পারলে আইনের আওতায় আনা হবে।তবে এ ব্যাপারে পারিবারিক ভাবে সচেতন থাকতে হবে।