তিনদিনেও ধরা পড়েনি ছিনতাই চক্রের মূল হোতারা: প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন

প্রকাশিত: ৩:২৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২১

কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বেশকিছু ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতিষ্ঠ কুষ্টিয়াবাসী। তবে নির্দিষ্ট কোন প্রমাণ সাপেক্ষ না থাকায় চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছিল না ছিনতাই চক্রকে। গত ৪ মার্চ হরিপুর শেখ রাসেল সেতুর উপর থেকে একটি মোটরসাইকেল ছিনতাই এর সময় পথচারীর তোলা ছবি থেকে উঠে এসেছে এই চক্রের আদ্যোপান্ত। সেই ছবি থেকে তাদেরকে চিহ্নিত করার পর তাদের ছবি সহ নাম ঠিকানা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসলে ইতিপূর্বে কুষ্টিয়ার ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া অনেকেই চিনতে পারেন তাদেরকে। তারা কমেন্টে তাদের অভিযোগপত্র সহ এই চক্রেরই উপস্থিতি ছিল বলে নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগীরা।

তাদের একজন হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১১ নং আব্দালপুর ইউনিয়নের দেড়িপাড়ার নয়ন জোয়ারদার। আরেকজন হলেন হরিনারায়নপুর ইউনিয়নের শিবপুরের সুজন মেম্বার। তবে দুঃখের বিষয় এই যে, ছিনতাই চক্রের মুখোশ উন্মোচন হওয়ার তিন দিন পরেও কেন পুলিশ তাদেরকে আটক করছেন না। কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে ঘটনার পর দিনো তারা নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিল বলে জানা গেছে। তবে কি তারা প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে। শিল্পনগরী ও উন্নত এই কুষ্টিয়ায় হাজার হাজার মেডিকেল শিক্ষার্থী সহ আমাদেরকে একটি নিরাপদ ও সুশৃংখল কুষ্টিয়া উপহার দিতে পারবে কি প্রশাসন সেই প্রশ্ন এখন জনমনে।

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাই, শান্তি ডাঙ্গা ১৪ মাইল থেকে মোটরসাইকেল চুরি, মধুপুর আখ সেন্টার থেকে অটো ছিনতাই, লক্ষ্মীপুর ১১ মাইল থেকে মোবাইল ছিনতাই, লক্ষ্মীপুরে চোরাই মোবাইল বিক্রয়ে ভুক্তভোগী প্রতারণার শিকার, বটতৈল থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনতাই, কুষ্টিয়া শহর থেকে জমজ দুই বোনের মোবাইল ছিনতাই ও হরিপুর শেখ রাসেল সেতুর উপর থেকে মটরসাইকেল ছিনতাই চেষ্টা সহ আরও অনেক ঘটনার সাথে এই চক্রের সম্পৃক্ততা আছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

আজ এদের কারণে কুষ্টিয়ার জনজীবন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। অতি দ্রুত এদেরকে প্রতিহত করা না গেলে কুষ্টিয়া একটি অনিরাপদ অঞ্চল বলে বিবেচিত হবে ধারণা সুশীল সমাজের। তাই দ্রুত এদেরকে আটক করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার সাধারণ মানুষ।




error: Content is protected !!