তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ডিমলায় মানববন্ধন।
মোঃ মেজবাউল হোসেন,নীলফামারী(ডিমলা)প্রতিনিধিঃ
“তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও
কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও ”
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনায় গৃহিত মহাপরিকল্পনা দ্রত বাস্তবায়ন, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং তিস্তা তীরবর্তী কর্মহীনদের জন্য প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন ও শিল্প কলকারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের দাবীতে “তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ” এর ডাকে আয়োজিত তিস্তার দুই তিরে ২৩০ কিলোমিটার মানববন্ধন এর অংশ হিসেবে ডিমলার ০৭ টি পয়েন্টে মানববন্ধন করেছে তিস্তা পাড়ের সর্বস্থরের জনগণ।
নীলফামারীর ডিমলায় আজ রবিবার (১-অক্টোবর) তিস্তারপাড় পশ্চিম ছাতনাই (কালীগঞ্জ) থেকে শুরু করে পুর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের তিস্তা পাড়ে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধনে তিস্তাপাড় ছাড়াও নীলফামারী, সৈয়দপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও সহ বিভিন্ন এলাকার জনগণ অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনের শুরুতেই বক্তারা তিস্তা ব্যবস্থাপনায় মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানায়।
তিস্তাপাড়ে বসবাসকারী ব্যক্তিগণ জানায়, “তিস্তা নদী আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে উঠেছে। বর্ষায় নদীর পানি বেড়ে গেলে প্রবল বন্যায় আমরা ঘর বাড়ি হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে যাই। আর অন্যান্য সময় নদীর পানি না থাকায় জমি-জমা হয়ে ওঠে চাষাবাদের অযোগ্য। তিস্তায় এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আমরা ফিরে পাবো আমাদের জমি-জমা, তিস্তায় পাবো পানি।”
“তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ” এর নেতারা জানায়, “তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনায় এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এখানে গড়ে উঠবে অর্থনৈতিক জোন ও শিল্প কলকারখানা যাতে কর্মসংস্থান হবে অনেক বেকার যুবকের। তাই মুজিববর্ষ উপলক্ষে এই মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।”