আলী আজীম,মোংলাঃ
দীর্ঘ দুইমাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে ফিরতে শুরু করেছে উপকূলের জেলেরা। এর আগে (১ সেপ্টেম্বর)মঙ্গলবার বন বিভাগের বিভিন্ন স্টেশন থেকে পাশ/পারমিট সংগ্রহ করে তারা।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ট্রলার ও নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে মাছ ধরতে নামে জেলেরা।দীর্ঘ সময় পর মাছ শিকারের অনুমতি পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে জেলে পরিবারে।আর দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেশি মাছ পাওয়ার আশা জেলেদের।
প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে গত ১ জুলাই থেকে ৩১আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খাল ও জলাভূমিতে জেলেদের প্রবেশ ও সকল প্রকার মৎস্য আহরণ বন্ধরাখে বন বিভাগ।দুই মাসের এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে সোমবার রাত ১২টার পর।
বনবিভাগ সুত্রে জানাগেছে, প্রায় ৬হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনে ছোট বড় সব মিলিয়ে ৪৫০টি নদী-খাল রয়েছে। বনাঞ্চলের এ জলাভূমির মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ৩০টি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রশস্ত খালে সারা বছরই মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।আর বাকী অংশের নদী-খাল ও জলাভূমিতে পাশধারী জেলেরা মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
সুন্দরবনে মৎস্য আহরণের উপর উপকূলের প্রায় ৩০হাজার জেলে পরিবারের জীবন-জীবিকা নির্ভর।এদের বেশির ভাগই জেলেই বংশ পরম্পরায় সুন্দরবনে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।মোংলা ও আশপাশের এলাকা সহ সুন্দরবন লাগোয়া এলাকার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীও বনের মৎস্য সম্পদ আহরণ ও বিকিকিনির সঙ্গে জড়িত।
২০১৯ সাল থেকে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে জুলাই ও আগস্ট মাস সুন্দরবনের নদী ও খাল গুলোতে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ।