দৃষ্টিপাত..??
মরলে গরু দুধের হয়
সৈয়দ শাহান শাহ্ পীর, মরলে গরু দুধের হয় শিরোনামে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ১৭ই জুন ২০১৭ ইংরেজীতে দৈনিক হবিগঞ্জের বানী প্রত্রিকার শেষ পৃষ্টায়। উক্ত প্রত্রিকায় মন্তব্য প্রতিবেদক আমি সৈয়দ শাহান শাহ্ পীর সাংবাদিক প্রতিবদেনটি প্রকাশ করি। এতে উল্লেখ করা হয়, গ্রামেগঞ্জে, শহরে বন্দরে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, মরলে গরু দুধাল বা দুধের হয়। অথ্যার্ৎ জীব জাতীয় পশু-পাখি বিষেশ করে মানুষ মারা গেল বা কেউ হত্যা করলে সবাই আক্ষেপ-আপসোস করেন অথবা ন্যায় বিচারের জন্য মিছিল মিটিং, অনশন মানব বন্ধন, বিক্ষোভ সেমিনার, সিমপুজিয়াম ক্ষোভ, নিন্দা প্রতিবাদ এবং ফাসিঁ দাবি করা হয়। কিন্তু হত্যার পূর্বে বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় দূর্ঘটনার প্রতিরোধের দাবি জানালেও কেউ এগিয়ে আসেন না। এগিয়ে আসেন খুন বা হত্যা দূর্ঘটনার পরে। তেমনটি ঘটনা ঘটেছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং বাজারের হরিজন সম্প্রদায়ের নারী সুখিয়া রবি দাস হত্যা কান্ডের বেলায়। যাই হোক, সুখিয়া ধর্ষনের পর হত্যার পরে অনেক লেখা-লেখির পর এগিয়ে আসেন দেশ-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা। ফলে, প্রশাসন প্রমান সহকারে উক্ত উপজেলার সুতাং সুরাবই গ্রামের কুখ্যাত মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী মোঃ আবুল কালাম আজাদ সাইলুকে গ্রেফতার করে এবং বর্তমানেও সাইলু জেল হাজতে বিচারাধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, হবিগঞ্জের বাণী প্রত্রিকায় মন্তব্য প্রতিবেদনের পরিশেষে এটাই উল্লেখ করা হয়েছিল যে, শেষ পর্যন্ত রবি দাসের সাহায্যকারী সংস্থাগুলো যেন অটল থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কতটুকু অটল রয়েছেন তা নিয়ে এলাকায় সন্দেহের কথা উঠেছে। অথর্যাৎ বর্তমানে সাইলুর পরিবর্তে উক্ত উপজেলারই সুতাং চাঁনপুর গ্রামের কুখ্যাত মাদক সেবনকারী ও ব্যাবসায়ী মোঃ সুজন মিয়া এবং শিপন মিয়া অত্যাচার চালাচ্ছে সুখিয়া রবি দাসের পরিবারের উপর। ফলে উক্ত অসহায় পরিবারটি নিয়ে সম্প্রতি হবিগঞ্জের দৈনিক অন-লাইন অপরাধ নামক প্রত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সুজন গ্রেফতার হয় আর শিপন ধরাছোয়ার বাইরে। তাই এই ব্যাপারে এলাকার অভিজ্ঞ মহলের নিকট প্রশ্ন জেগেছে উক্ত পরিবারটির পাশে কি দেশ-বিদেশী সাহায্যের সংস্থা গুলো রয়েছে।