নবীগঞ্জের পল্লীতে সৌদি প্রবাসী  ২ সন্তানের জননীকে স্বামী কর্তৃক  নির্যাতনের অভিযোগ৷

প্রকাশিত: ৫:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২২
স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সৌদি আরব প্রবাসী ২ সন্তানের জননীকে স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের গুরুতর  অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ জানান,উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি  গ্রামের সামছুদ্দিনের কন্যা সুনেছা বেগম (৩৩)তিনি, তার ‘সাথে  প্রায় ১৫ বছর পূর্বে  বিবাহ্ হয় একই উপজেলার বেরী গ্রামের ও বর্তমানে আউশকান্দি ইউনিয়নের উলুকান্দি (ভূমিহীন)  পাড়ার বাসিন্দা মৃত লেবু মিয়া পুত্র কাশেম মিয়ার সাথে৷ বিয়ের পর  দাম্পত্য জীবনে  তাদের ঔরসজাত দু’টি কন্যা সন্তান রয়েছে বর্তমান মেয়ে  চাঁদনী বেগম (৭),সামিহা বেগম (১), বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই   কাশেম তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য শারিরীক, মানসিক নির্যাতন শুরু করেন৷ বিয়ের কয়েক  বছর  পরেই  কাশেম তার  স্ত্রীকে জর্ডান প্রবাসে পাঠিয়ে পাঠিয়ে দেন৷  প্রবাস জীবনে সেখান থেকে স্বামীর সংসারে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাই  রোজি করে স্বামী দেন বলে তিনি জানান৷ এই টাকা পেয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে স্ত্রীর উপার্জিত টাকা   কাশেম খারাপ কাজে খরছ করে পেলেন৷
 এক পর্যায়ে ৩ বছর পরে তিনি দেশে আসলে আবারো টাকার প্রয়োজনে তাকে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দেন কাশেম৷ সেখান থেকে দীর্ঘদিন পর আবারো তিনি দেশে ফিরে আসলে প্রায়ই তাকে তার স্বামী যৌতুক ও  নেশার টাকার জন্য মারপিট করতেন বলেও জানান তিনি৷ এমনকি কাশেম তার শশুর সামছুদ্দিনকে ঘর বানিয়ে দেবার জন্য বার বার আনয় বিনয় করে তাগিদ দিলে  তিনি তার মেয়ের সংসারের সুখের  চিন্তাকরে তাকে একটি টিনসেড ঘর বানিয়ে দেন৷
এদিকে তার স্ত্রী’কে আবারো সে টাকার জন্য মারপিট শুরু করলে সম্প্রতি সুনেছা বেগম সৌদি আরব প্রবাসে আবারো  যেতে চাইলে তখন বাধা দেন কাশেম,একপর্যায়ে থানায়ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ অবশেষে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে তিনি ফিরে আসেন৷ এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্রতর মনমালিন্যের সৃস্টি হয়৷ এই ঘটনায় একাধিক বার সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত বসলেও কাশেম তা অমান্য করে   তার ঔরসজাত দু’টি কন্যা সন্তানকে তার কাছে রেখে স্ত্রীকে মারপিট করে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়৷  অবশেষে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ২৪ এপ্রিল শিশুদের উদ্ধারের জন্য একটি মামলা দায়ের করলো বিজ্ঞ  আদালতের মাধ্যমে দু’টি মেয়েকে স্বামীর কবল থেকে উদ্ধার করেন সুনেছা বেগম৷
এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিজিল  আহমেদ সেজলু ও বিশিষ্ট সালিশ বিচারক আব্দুর রকিব সহ গন্যমান্য ব্যক্তির সমন্বয়ে সামাজিক বিচারকদের মাধ্যমে  কাশেমের শশুর সামছুদ্দিন তার দেয়া বানানো ঘরটি তিনি জায়গার মালিক মসন মিয়ার  অনুরোধে ও বিচারের রায়ে ভেঙ্গে নিয়ে যান৷
এঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে গত ক’দিন পূর্বে মাতাল কাশেম৷ একটি বিষের  বোতল ও দা হাতে নিয়ে শশুর  বাড়ীতে গিয়ে হামলা করে ব্যর্থ হয়ে  আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি৷
 একপর্যায়ে গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ পাড়া প্রতিবেশির প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত করেন তারা, তাকে বুঝিয়ে ও অনুরোধকরে বিদায় করেন৷
এর পরথেকেই শশুর বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে একের পর এক সাজানো মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা করে প্রবাসী সুনেছার পিতা ও আত্মীয় স্বজনকে হয়রানি করে যাচ্ছেন কাশেম৷ কাশেমের নির্যাতন ও হুমকিতে সুনেছার পরিবার আতংক দিনযাপন করছেন৷
তারা এ বিষয়ে প্রশানের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন৷



error: Content is protected !!