নিপা ফিরোজ একজন সফল নারী উদ্যোক্তার গল্প

প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২১

মোঃ ইউসুফ শেখ, খুলনা।।

ইন্টারনেটের বদউলতে ক্লিক করলেই গোটা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোই মুর্হুতেই পেয়ে যাবেন যখন যা দরকার এ যেন সপ্নের রাজ্য। ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ফেসবুক রয়েছে সবার শীর্ষে তাছাড়া টুইটার,লিংক্ডইন, ইন্সেট্রাগ্রাম সহ আরো অনেক সোশ্যল মিডিয়া। পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে নারীর সংখ্যাও কম নয় ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। মহামারি করোনার হ্রিংস্রতায় থমকে গেছে গেটা বিশ্ব, ঠিক সেই মুর্হুতে অর্থের চাকা সচল রাখতে এবং মহামারি করোনার বিস্তার রোধে বেড়েছে অনলাইন বিজনেস। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইন বিজনেস পিছিয়ে নেই খুলনার মেয়েরা। খুলনা বিজনেস সোসাইটি | Facebook গ্রুপ এখানে বিচরণ করতেই আপনি পেয়ে যাবেন হরেক রকম পন্যের সমাহার, যার সিংহ ভাগই নারী উদ্যোক্তা।
প্রতিবেদক এর সাথে কিছু সফল উদ্যোক্তার কথা হয় তার মধ্যে অন্যতম নিপা ফিরোজ। একজন উদ্যোক্তাকে উদ্যোক্তা হিসেবে দেখা উচিৎ, নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নয়। কিন্তু এই মুহর্তে আমাদের দেশে নারী তথা নারী উদ্যোক্তা ও নারী পেশাজীবিরা পুরষদের মতো নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ পান না। এটা সমাজের সমস্যা হোক, দেশের সমস্যা হোক- এটা একটা সমস্যা। নারীরা এমন কিছু সমস্যা মোকাবিলা করেন যেটা একই সমাজের একজন পুরুষকে মোকাবেলা করতে হয়না।
তেমন একজন নারী উদ্যোক্তার সফলতার গল্প এটি। তিনি হলেন একজন সংগ্রামী সফল নারী উদ্যোক্তা,‘‘নিপা ‘স বেক’’ এর স্বত্ত্বাধিকারি নিপা ফিরোজ। খুলনা ফুলতলা উপজেলার খান জাহান আলী থানাধীন, আটরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মফস্বল গ্রামে তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। আটরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খান জাহানআলী আর্দশ মহাবিদ্যালয় এবং উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেন সরকারি বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে। তিনি এ সময়ের একজন সফল হোমমেড ফুড আইটেমের আইকন। নিপাস বেক হোমমেড ফুড আইটেমের তালিকায় যা পাবেন আপনি। জন্মদিনের কেক-ভ্যানিলা,,চকলেট, ওভার লোটেড,মোকা কেক,লেমন কেক,অরেঞ্জ কেক,,সেমি ফন্ডেন্ট কেক, ভ্যানিলা পেষ্টি, জার কেক চকলেট, জার কেক ভ্যানিলা ইত্যাদি এছাড়া রয়েছে, চিকেন প্যাটিস,পুডিং,ক্যারামেল পুডিং,শাহী জর্দা,চিকেন প্যাটিস, চিকেন বান। ফেসবুক লিংক ( Nipa Feroz Nipa | Facebook) এবং ফেসবুক গ্রুপ Nipa’s Bake | Facebook।

নিজস্ব আগ্রহ ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে একটু একটু করে গড়ে তুলেছেন ক্রেতাবলয়, অর্জন করেছেন আস্থা। শুরুটা স্বাভাবিকভাবেই মসৃণ না হলেও গত চার বছরে তাঁর হোমমেড ফুড প্রতিষ্ঠান ,‘‘নিপা ‘স বেক’’ পেরিয়েছে অনেক বন্ধুর পথ। শৈশব থেকেই তার ইচ্ছা ছিলো একজন ফ্যাশান ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে আত্নপ্রকাশ করার। পারিবারের সর্মথন না পাওয়ায় হয়ে ওঠেনি ফ্যাশান ডিজাইনার,,তবে হাল ছাড়েননি তিনি কিছু একটা করতে হবে বলে বেকে বসেছিলেন। রান্নাবান্নার সখ ছিল ছোটবেলা থেকেই তবে তা ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে হবে চিন্তা করেনি।
সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন তার স্বামী ও বড় বোন। উৎসাহ ও উদ্দিপনা দিয়েছেন পরিবারের সব থেকে আপনজন মা-বাবা এবং ছোট বোন। সব সময় তারা পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন। তাদের সহযোগিতায় আজ তিনি এই জায়গায় আসতে পেরেছেন। নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে বেশি পছন্দ করেন তিনি সেই সাথে মন খারাপে নিপা ফিরোজ চুপচাপ একা থাকতে ও জীবনের ভাল মূহুর্ত গুলো ভাবতে পছন্দের পাশা পাশি অপছন্দের তালিকায় রয়েছে পর-নিন্দাকরা, অহংকার করা, মিথ্যা কথা বলা।

নিপা ফিরোজ মনে করেন, অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগগুলোকে এখনো অনেকেই সংসার সামলে অবসরে করা শখের কাজ ভাবে। শুরুতে তার এমনও অভিজ্ঞতা হয়েছে, অনেকে তাঁর ব্যবসাটি ঘরকেন্দ্রিক ভেবে তেমন খরচের ব্যাপার নেই বলে ন্যায্য স্বীকৃতিটিও দেয়নি। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন, যেকোনো সনাতনী পেশাজীবীর চেয়ে একজন উদ্যোক্তাকে তাঁর ব্যবসায় ভাবনা, শ্রম ও সময় কোনো অংশেই কম দিতে হয় না। নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আমার পরামর্শ- স্বাবলম্বী হয়ে বেঁচে থাকার স্বার্থকতাটাই আলাদা। তাই বলবো, একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হলে আপনাকে অবশ্যই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে মাঠে নেমে পড়তে হবে। প্রতিবন্ধকতা থাকবেই, তবে ইচ্ছা থাকলে তা ওভারকাম করা সম্ভব। আমি একা বড় হতে চাই না; আশপাশের নারীদেরও সফল দেখতে চাই। সফল নারী উদ্যোক্তা নিপা ফিরোজ বলেন, জীবনে অনেক পেয়েছি এবার কিছু দিতে চাই আমি সমাজের অবহেলিত মানুষ বিশেষ করে নারীরা যারা আমাদের সমাজে অনেক ক্ষেত্রে অসহায় তাদেরকে নিয়ে কাজ করতে চাই, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্বর্নিভরশীল করে গড়ে তুলতে চাই।




error: Content is protected !!