নীলফামারী কিশোরগঞ্জে পুকুর খননে পুকুর চুরি

প্রকাশিত: ৯:১৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২০

এ জি মুন্না- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ পুকুর খননে পুকুর চুরি। দায়সারাভাবে কাজ করে বরাদ্দকৃত অর্থ মৎস্য অফিসারের যোগসাজোশে হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ করেছেন প্রকল্পের খোদ সুফলভোগী ও এলাকাবাসী। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মৎস্য অফিসের অধীন বাহাগিলী ১ ও বাহাগিলী ২ নামে দুইটি প্রকল্পে এ অনিয়ম করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়- ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে রংপুর বিভাগ মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প এবং জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উন্নয়ন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কিশোরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে দারিদ্র বিমোচন,কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলাশয়ের জীব বৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়নের লক্ষ্যে ২৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ প্রকল্পর আওতায় উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের সাধুর আশ্রম নামক স্থানে সরকারি খাস জলাশয়ে ২টি পুকুর খনন কর্মসুচি হাতে নেয়া হয়। কিন্ত উপজেলা মৎস্য অফিস স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষে একই স্থানে বাহাগিলী ১ ও বাহাগিলী ২ নামে দুইটি প্রকল্প হাতে নেয়। নামে মাত্র দায়সারা পুকুর খনন করে ঘোলা জলে মাছ স্বীকার করার মত। পুকুরটি পূর্ব থেকে মাছ চাষ হয়ে আসছে। প্রকল্প অনুসারে পুকুরটি ১.২১ মিটার খনন করার করার কথা থাকলেও বাস্তবে ২-৩ ফুট খনন করা হয়। খনন যোগ্য মাটির পরিমাণ বাহাগিলী-১ প্রকল্পে ৭৮২৮ ঘনমিটার ও বাহাগিলী -২ প্রকল্পে ৯০৩৩ ঘনমিটার পুকুর খনন প্রাক্কলন করা হয়। কিন্তু বাস্তবে ২-৩ ফুট খনন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ১.৪০৫ হেক্টর জমির উপর পুকুর খনন করা কথা থাকলেও এর চেয়ে কম পরিমাণ জমি খনন করা হয়েছে। এদিকে দুটি প্রকল্পে নামমাত্র সুবিধাভোগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।

প্রকল্প সভাপতি মিনাল বৈশ্য জানান- ইঞ্জিনিয়ারসহ অফিস ম্যানেজ করে কাজ করায় একটু কাজে উনিশ বিশ হতে পারে।

এলাকাবাসী গজেন চন্দ্র জানান, পূর্বেই পুকুরটি ৫ থেকে ৬ ফুট গভীর ছিল। এ বছর নামমাত্র খনন করে পুকুরের পাড় উচু করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সুবিধাভোগী জানান- মৎস্য অফিসারের সাথে সভাপতির ভাল সম্পর্ক থাকায় কাজের এমন গরিমশি হয়েছে। নাম মাত্র উপকারভোগীর সংখ্যা দেখিয়ে দায়সারাভাবে পুকুর খনন করা হয়েছে।
প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা মৎস্য অফিসার আবুল কাশেম জানান,মিনাল আজকে কি দিয়ে ভাত খায় তা কালকে বলতে পারে না,তার কথার মূল্য নাই।আর আমার জানা মতে প্রকল্পে শতভাগ কাজ হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিসার আশরাফুজ্জামান প্রকল্প সভাপতির বক্তব্য অস্বীকার করে বলেন আমার অফিস কোন কিছু খায় না। উনি কাকে কমিশন দিয়েছে সেটা তার ব্যাপার।_(সংবাদ সংগ্রহ সহযোগীতায় বিপিএম জয়)




error: Content is protected !!