নীলফামারীতে নোটারি পাবলিক কার্যক্রমে অনিয়ম, রাজস্ব থেকে বঞ্চিত সরকার।

প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২১

এ জি মুন্না, নীলফামারী: আইনাঙ্গনে অতি পরিচিত একটি বিষয়ের নাম ‘নোটারি পাবলিক’। কোনো গুরুত্বপূর্ণ দলিল-দস্তাবেদ সত্যায়িত, এফিডেফিট সহ নানা কাজে নোটারি পাবলিকের সম্মুখীন হতে হয়ে। দেশে সাধারণত নোটারি পাবলিকের কাজ অনুমোদিত আইনজীবীরাই করে থাকেন। নীলফামারীতে জেলা জর্জ কোর্টের ৪জন নোটারি পাবলিকের মধ্যে একজন হলেন এ্যাড. মোঃ ফজলুল হক। জন্ম তার ২২শে জুন ১৯৪৫।
এখনো তিনি আইন পেশাসহ অবৈধ ভাবে তার নোটারি পাবলিকের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নিয়ম অনুসারে আইন পেশা চালিয়ে যেতে পারলেও নোটারি পাবলিকের কাজ করতে পারেন না তিনি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ২০০৩ সালের ৭জানুয়ারী জারিকৃত গেজেট অনুসারে একজন আইনজীবী সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত নোটারি পাবলিকের কাজ করতে পারবেন। তবে শারীরিক সুস্থতা ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে আরো ৫ বছর নোটারি পাবলিকের কাজ করতে পারবেন।
কিন্তু নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নীলফামারী জেলা জর্জ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. মোঃ ফজলুল হকের বয়স ৬০ পার হয়ে বর্তমানে ৭৬বছর বয়স হলেও তিনি তথ্য গোপন করে অবৈধ ভাবে নোটারি পাবলিকের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ১০ বছর রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
এতে করে তার কাছে নোটারি পাবলিক এর কাজ করতে আসা সাধারন মানুষেরা হচ্ছে প্রতারণার স্বীকার।
বয়স পার হওয়ার পরেও নোটারি পাবলিকের কাজ ও রিনিউ করার বিষয়টি জানতে চাইলে ফজলুল হক বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা পেলে আমি নোটারি পাবলিকের কাজ আর করব না।
নোটারি পাবলিকের কাজ ও বয়সকাল সম্পর্কে জেলা জর্জ কোর্টের আইনজীবীর ও নোটারি পাবলিক জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে হলে সাধারণত আমাদের মাধ্যমে সত্যায়িত করে জমা দিতে হয়। বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই সত্যায়িত করা বাধ্যতামূলক। জমিজমা সংক্রান্ত দলিল-দস্তাবেজ, হলফনামা, বিবাহবিচ্ছেদ, গাড়ি বেচাকেনা, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, চারিত্রিক সনদপত্র, জন্ম-মৃত্যুর সনদপত্র এবং বিদেশে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে নোটারি পাবলিক দিয়ে সত্যায়িত করা বাধ্যতামূলক। প্রতি তিন বছর পর পর একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে নোটারি পাবলিকের হালনাগাদ করতে হয়। সাধারনত একজন আইনজীবী সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত নোটারি পাবলিকের কাজ করতে পারবেন। ৬৫ বছরের উর্দ্ধে কোনো আইনজীবীর যদি নিজেকে নোটারি পাবলিক দাবি করে উপরুক্ত কাজগুলো সত্যায়িত করে তাহলে সেটি সম্পূর্ন অবৈধ বলে গণ্য হবে।
জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আলফারুক আব্দুল লতিফ বলেন, আমি জেলা আইনজীবী সমিতির কমিটি সাথে কথা বলে সিন্ধান্তর বিষয়টি পরে জানাব।




error: Content is protected !!