এ জি মুন্না, নীলফামারী
নীলফামারীর কচুকাটা ইউনিয়ন বাজিতপাড়ায় তিন সন্তানের জননী প্রথম স্ত্রী মমতা বেগমকে যৌতুকের জন্য পিটিয়ে জখম করে স্বামী শাহিন ইসলাম ।
মমতা বেগমের বিয়ে হয় ১০ বছর আগে কচুকাটা বাজিতপাড়া গ্রামের মোজাহার ইসলামের ছেলে শাহীন ইসলামের সাথে। তার কোল জুড়ে রয়েছে তিনটি সন্তান। কথা হয় মমতা বেগমের সাথে নীলফামারী জেলারেল হাসপাতালে । হাসপাতালের বেডে শুয়ে ব্যাথায় কার্তাচ্ছিলেন তিনি। সে সময় তিনি জানান আমার দুইটি কন্যা ও একটি ছেলে সন্তান। আমাকে ও আমার সন্তানকে কোন ভরনপোষন দেয়না আমার স্বামী। ভরনপোষন চাইলে আমাকে ও আমার সন্তানের উপর নির্যাতন করেন। আমার বাবার কাছে থেকে আবারও ২লক্ষ টাকা যৌতুক আনতে বলে। আমার বিয়ের সময় আমার বাবা ১লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও ৩০হাজার টাকার স্বর্ণালংকার দেয়। তারপরেও আমার বাবার কাছে আরো ২লক্ষ টাকা যৌতুক চায়। আমার বাবা যৌতুকে টাকা দিতে না পারলে আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আমার স্বামী কচুকাটায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।
আমি ১৮ মার্চ দুপুরে বাজার খরচ নিতে আমার স্বামীর কাছে যাই। বাজার খরচের কথা বললে আমার স্বামী আমার বাবা কাছে থেকে ২লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে আসছি কিনা জানতে চায়। আমি যৌতুক টাকা নিয়ে আসতে অস্বীকার করি তখন বাজার ভর্তি মানুষের সামনে আমাকে কাঠের খড়ি দিয়ে মারপিট করে এবং রক্তাত্ত জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। আমার বাবাকে এলাকার লোক জন খবর দিলে তিনি এসে আমাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
মমতার বাবা মমতাজ ইসলাম জানান, আমার জামাই শাহিন ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করার পর আমার মেয়ে ও নাতি নাতনীদের কোন ভরনপোষন দেয় না। আমি মেয়ে বিয়ের সময় যতটুকু সামার্থ্য ছিল ততটুকু দিয়ে মেয়ে কে বিয়ে দেই। আমার কাছে আরো ২লক্ষ টাকা যৌতুক চায়। আমি যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়ে উপর রোজ মারপিট ও নির্যাতন চলছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে কার্তাচ্ছে। আমার মত গরীবের ঘরের মেয়েরা কি বিচার পাবে না।