নীলফামারীতে ২০হাজার বানভাসী মানুষ ত্রাণের অপেক্ষায়

প্রকাশিত: ৪:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

এ জি মুন্না- নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে। নীলফামারীর ডিমলায় নদী অববাহিকায় বাড়িতে পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে বীজতলা ও ফসলের মাঠ। বানভাসী মানুষের এখনও পর্যাপ্ত ত্রাণ না মেলায় হাহাকার শুরু হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ বলেন, উজানের ঢল সামাল দিতে খুলে রাখা হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট।

এদিকে ডিমলা, জলঢাকার প্রায় ১৫টি চর ও চরগ্রাম হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষে ডিমলা উপজেলায় প্রথম দফায় ১ দশমিক ৭৭০ মেট্রিক টন চাল, নগদ এক লাখ ৫৮ হাজার টাকা ও ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ডিমলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্র্ণ এলাকার ১৫টি চর ও গ্রামের পরিবারগুলো বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ডিমলা উপজেলার পূবর্ ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, উজানের ঢলে পানির গতিবেগ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এলাকার উঁচু, নিচু স্থানে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে এলাকার ১ হাজার ১৪০ পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এলাকার ঝাড়শিঙ্গেরশ্বর মৌজাটি তলিয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে সেখানকার মাটির রাস্তাগুলো। রাস্তার উপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হওয়ায় এলাকাবাসী বালুর বস্তা দিয়ে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছে।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামার চর, ফরেস্টের চর, সোনাখুলীর চর ও ভেন্ডাবাড়ি চরে দেড় হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

তিনি জানান, দক্ষিণ সোনাখুলী এলাকায় তিস্তা নদীর ডান তীরের প্রধান বাঁধের অদূরে ইউনিয়ন পরিষদের তৈরি করা মাটির বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।




error: Content is protected !!