নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক:

মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের শিক্ষানবিশ নার্স শাহানাজ আক্তার প্রিয়তা (২১) হত্যার প্রধান আসামি মো. রুবেল হোসেনকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে প্রিয়তার ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও সিম জব্দ করা হয়।শুক্রবার ৪ মার্চ ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সুবর্ণচর উপজেলার চর রশিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের চৌকস টিম।শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা।জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রুবেল পেশায় অটোরিকশা চালক। তিনি বসুরহাট পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের মকবুল আহমেদের পালক ছেলে। প্রিয়তা কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্রামের ভূঁঞারহাট বাজার এলাকার নুরনবীর মেয়ে।সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্বীকার করে, দীর্ঘদিন ধরে প্রিয়তার প্রতি লোলুপ দৃষ্টি ছিল। ঘটনাক্রমে সেদিন ভুক্তভোগী নানার বাড়ি যাওয়ার জন্য সেই অটোরিকশায় চড়ে। তখন রুবেল সোজা পথে না গিয়ে জমির আলসাদৃশ্য পথে রওনা হয়। প্রিয়তা এর প্রতিবাদ করলে রুবেল জানান এটা তার নানার বাড়ি যাবার সবচেয়ে সোজা পথ। তখন প্রিয়তা অটোরিকশা থেকে নেমে হাঁটা শুরু করে। এসময় রুবেল পেছন থেকে প্রিয়তাকে জাপটে ধস্তাধস্তি করে। একপর্যায়ে প্রিয়তার মুখে ওড়না পেঁচিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে রুবেল। এসময় মেয়েটি দম বন্ধ হয়ে মারা যান।পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে রুবেলকে গ্রেফতার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি প্রিয়তাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। আমরা বিচারিক আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড আবেদন করে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের ইয়াছিন মোল্লা বাড়ির পেছনের ধানক্ষেত থেকে শাহানাজ আক্তার প্রিয়তা নামে শিক্ষানবিশ নার্স ও সরকারি মুজিব কলেজের অনার্স পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১ মার্চ প্রিয়তার বাবা নুরুন্নবী বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।