নড়াইলে কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লিগের সাধারন সম্পদক ও পরিষদের (ইউপি) মেম্বার আবদুল কাইয়ূম সিকদারকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসসহ ৪৫ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৯ মে) রাত ৮টার দিকে এ মামলা দায়ের করেন নিহত আবদুল কাইয়ূমের ছেলে নড়াগাতির বিলাফর গ্রামের নাইমুল ইসলাম মিল্টন। এ ছাড়া ১০ থেকে ১৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন। তিনি জানান, এ মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে মামলার বাদি মিল্টন জানান, তার বাবা পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। ২০১৩ সালে অবসরে যান। এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলের অধিনায়কও ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কলাবাড়িয়া ইউপি থেকে মেম্বার নির্বাচিত হন।
মামলার বিবরণে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত ২৬ মে রাত ৯টার দিকে নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ূম সিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা।
উৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষরা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে নড়াগাতি থানার কালিনগর এলাকায় আবদুল কাইয়ূমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। গুরুতর জখম কাইয়ূমকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে তার মৃত্যু হয়।
তার হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কাইয়ূম নড়াগাতির বিলাফর গ্রামের হাসু সিকদারের ছেলে। েএ ঘটনায় নড়াগাতি থানা কৃষকলীগের সভাপতি কলাবাড়িয়া গ্রামের আবুল হাসনাত মোল্যা (৪০) এবং একই গ্রামের আপন দুই ভাই মতিয়ার মল্লিক (৪২) ও সজীব মল্লিককে (২৮) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষরা।
তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তারা দু’টি মোটরসাইকেল যোগে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা সদর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে কালিনগর এলাকায় ওৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষরা তাদের পথরোধ করে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়!