পদ্মা সেতু উম্মোচনে দক্ষিন এশিয়ার ৩০০ কোটি মানুষের ব্যবসায়ীক কেন্দ্রবিন্দু হবে বাংলাদেশ –  বললেন আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার মিলন ॥

প্রকাশিত: ১১:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২২

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  ঃ  অপামী ২৫জুন খুলে
দেয়া হচ্ছে দেশের বৃহত্তম স্বপ্নের দ্বার পদ্মা সেতু। উদ্বোধন করবেন
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এশিযার অন্যতম বৃহৎ এ সেতু
উম্মোচনের ফলে দক্ষিন এশিয়ার ৩০০ কোটি মানুষের ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু হবে
বাংলাদেশ, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বহু আগেই
স্বল্পোন্নত আয়ের সীমানা পেরিয়ে মধ্যোম আয়ের দেশ থেকে এখন উন্নত আয়ের
দেশে পরিনত হয়েছে। মঙ্গলবার দপুরের দিকে কলাপাড়ার কুমারপট্টিস্থ নিজ
কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের
সদস্য, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুর রহমান মিলন। তিনি বলেন, ৩৬বছর
সেনাবাহিনীতে চাকরীকরাকালীন প্রধানমস্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক কাউন্সিলের
দায়িত্ব পালন, দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী ও প্রধানমন্ত্রীর সংগে
বিদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, যা কিছু অর্জন করেছি তার
সবটুকু এখন নিজ এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই

এসময় সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিলন আরো বলেন, পদ্মা
সেতু উম্মোচনের মাধ্যমে দক্ষিনাঞ্চলে পায়রাবন্দর, পায়রা তাপবিদ্যুৎ
কেন্দ্র, কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র, শের-এ-বাংলা নৌ-ঘাটির সাথে
কানেকটিভিটি আরো বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে এর ফলে দক্ষিন এলাকা একটি বৃহৎ
শিল্পাঞ্চলে পরিনত হবে, যার ফলে এই জনপদের মানুষের অর্থায়ন ও অর্থনীতি
বৃদ্ধি পাবে। পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে এখানে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান
গড়ে উঠবে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ১৫,০০০ মেগাওয়াট
বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি মহাপরিকল্পনা রয়েঝে বর্তমান সবকারের, ইতিমধ্যে
১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শেষ হয়েছে, আরো ১৩২০ ও ৪২০ মেগাওয়াট
বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে, তালতলীতে ৩৫০ মেগাওয়াট
ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের একটি প্ল্যান্ট বসানোর কাজ চলছে, এগুলো সবই
জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত হবে, পদ্মা সেতু চালুর পাশাপাশি এ অঞ্চলে রেলস্টেশন
টার্মিনাল হবে, যেখানে গ্যাসলাইন সংযুক্ত হবে, সড়ক যোগাযোগ ফোর লেন,
সিক্স লেন, এইট লেন রাস্তাগুলো তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শুরু করে
কুয়াকাটা পর্যটন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, এ সেতু উম্মোচনের ফলে এ জনপদের
সাড়ে চার কোটি মানুষ নয় রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য সব এলাকার কোটি কোটি
মানুষ এ্ই এলাকায় খুব সহজে এবং অতি দ্রুত যাতায়তের মাধ্যমে আসা-যাওয়া
করবে, এ অঞ্চলের ব্যবসা-বানিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত হবেন, সাড়ে সতেরো
কিলোমিটার কুয়াকাটা সমুদ্রবন্দর তারা ব্যবহার করবে, এরফলে দূর্যোগ দূষিত
হবে, পায়রা বন্দরে শিল্প-কারখানায় বড় বড় দেশী-বিদেশী জাহাজ আসবে
র-মেট্রিয়ালস নিয়ে, এর মাধ্যমে পায়রা বন্দরের আয় বাড়বে, সেই আয় দিয়ে
বন্দর ও এ এলাকার উন্নয়ন আরো সহজতর হবে, র-মেট্রিয়ালস দিয়ে যেসব
ইন্ডাস্ট্রী তৈরী হবে ঐ ইন্ডাস্ট্রীতে যে প্রডাক্ট তৈরী হবে সেসব
প্রডাক্ট এই পায়রাবন্দর দিয়ে এক্সপোর্ট হবে, সেই এক্সপোর্টের মাধ্যমে যে
আয় হবে সেই আয় দিয়ে এ অঞ্চলে ধীরে ধেির এমান্বয়ে আরো ইন্ডাস্ট্রী গড়ে
উঠবে, এর মাধ্যমে এই জনপদের সাড়ে চার কোটি মানুষসহ পুরো বাংলাদেশের
মানুষের অনেকেরই এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, কর্মসংস্থানের জন্য এ
অঞ্চলের মানুষের আর বিদেশে যেতে হবেনা কিম্বা ঢাকায় যেতে হবেনা, এখানে
পর্যাপ্ত কর্মনংস্থান তৈরী হবে এবং প্রচুর শিল্প-কারখানা তৈরী হবে, কৃষি
নির্ভর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চল দেশের শীর্ষস্থানে চলে আসবে।

গবশেষে সাবেক সেনা কর্মকর্তা  ব্রি: জেনারেল  মিলন বলেন, এ সবকিছুই হবে
প্রধানমন্ত্রীর হাত ধওে ১৮ কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের
মধ্যে দিয়ে, গনমাধ্যম কর্মীদের সংগে মতবিনিময় সভায় কলাপাড়া উপজেলা
আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও
তার একান্ত সহকারী মো: সগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।




error: Content is protected !!