পিরোজপুরের কাউখালীতে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মা হারা মেয়েটি মাথা গোঁজার কোনো ঠাই হয়নি
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ মুজিব বর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না কেউ সরকারের এই স্লোগান বাস্তবায়ন হচ্ছে তারপরও কাউখালী মা হারা দশম শ্রেনীর ছাত্রী স্বর্না রায় অসুস্থ দিনমজুর পিতাকে নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাই এখন পর্যন্ত হয়নি। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের দীনমজুর মনোজ রায়ের একমাত্র মেয়ে গন্ধর্ব জানকীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্রী। কয়েক বছর পূর্বে স্বনার্র মা দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। অসুস্থ দিনমজুর পিতাকে নিয়ে পলিথিনের ছাউনি ও খরকুটা দিয়ে বেড়া দিয়ে কোনোরকম মাথা গোঁজাগুজি করে কাটিয়ে দিচ্ছে। মেয়েটির নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে দাড়িয়েছে। লেখাপড়ার দায়িত্ব যদিও বিদ্যালয় কতর্ৃপক্ষ নিয়েছে তবুও কি খেয়ে কোথায় থেকে লেখাপড়া করবে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ গন্তব্যের দিকে ধাপিত হচ্ছে। গতকাল রবিবার গোপালপুর তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় কবি জসীম উদ্দিনের আসমানী কবিতার দুটি লাইন বাস্তবে প্রমান পাওয়া যায়। আসমানীদের দেখতে যদি রসুলপুরে যাও ঘর নো তয় যেন ভেন্যাপাতার ছাউনি। কাউখালী উপজেলার সমাজ সেবক ও মানবতার ফেরিওয়ালা আঃ লতিফ খসরু গতকাল ফেইজবুকে ভাইরাল হওয়া দেখতে পেয়ে নিজ উদ্দ্যোগে স্বর্না ও তার বাবাকে দুটি কম্বল, একটি গায়েল চাদর, একটি থ্রি পিস সহ কিছু শুকনো খাবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সি জানান, ‘খ’ শ্রেনীর ঘরের তালিকাভুক্ত হয়েছে। সরকারিভাবে ঘর আসলে তাদেরকে দেয়া হবে।