পৌর মেয়র-প্রধান শিক্ষকসহ ২২ জনের নামে দুদকের মামলা

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২৩
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সামছুজ্জামান অরুনসহ ২২ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, সাবেক সভাপতি সামছুজ্জামান অরুন ও দুজন শিক্ষক প্রতিনিধি অপরাধমূলক অসদাচরণ করে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ভঙ্গ করে নিয়োগ দেয়। যার প্রেক্ষিতে দুদক খোঁজ খবর নিয়ে সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৮ এর বিধিবিধান এবং সরকারি প্রজ্ঞাপনের নিয়ম ভঙ্গ করে কুষ্টিয়ার কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক/কর্মচারী পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি ও ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ভোকেশনাল শাখার মো. আব্দুস সাত্তার, সহকারী শিক্ষক (গণিত) মো. খলিলুর রহমান, সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) আসমা বেগম মালা, সহকারী শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা) এস এম আতি বিন বাপ্পী, সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) কুতুবুল আলম, সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) মনিরা পারভিন, সহকারী শিক্ষক (জীববিজ্ঞান) লুৎফুন নাহার লাবনী, সহকারী শিক্ষক (ভৌতবিজ্ঞান) শেখ মো. সেলিম রেজা, কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর (ভোকেশনাল শাখা) সাম্মী আক্তার, সহকারী শিক্ষক (ভৌতবিজ্ঞান) আব্দুল্লাহ মোহাম্মদী, সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) আমিরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) মো. শহিদুল ইসলাম, নিম্মমান সহকারী কম্পিউটার অপারেটর বাসনা রানী কর্মকার, আয়া মোছা, রুপালী খাতুন, পরিছন্নতা কর্মী সনজিদ কুমার বাঁশফর, নৈশ্য প্রহরী মো. নাসিম হোসেন, অফিস সহায়ক (পিয়ন) মো. আলমগীর হোসেন, দারোয়ান মো. আমিরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট মোছা. খাদিজাতুল কোবরা ও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম জানান, ৬ মাস আগে খুলনা থেকে টিম এসে তদন্ত করে গেছে। আর দুদক আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়েই মামলা করেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল জানান, ডিজির প্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে, ব্যাক ডেট দেখিয়ে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ১৮ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। তথ্য পাওয়ার পর খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার কুষ্টিয়া কোর্টে মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।



error: Content is protected !!