মোঃমাসুদ পারভেজ,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের ফকিরহাট বাজার সংলগ্ন শিকদার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এখন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে।চলছে অদক্ষ টেকনিশিয়ান,অনুমোদন বিহীন,এবং মেডিকেল সম্পর্কে জ্ঞান নেই এমন নার্স দ্বারাই।
ক্লিনিকের ওয়ার্ড বয় দ্বারা চলছে এক্স-রে। তবে সেই এক্স-রেও করা হচ্ছে অবৈধভাবে,নেই কোন অনুমোদন।
সেবিকা হওয়ার মতো কোন যোগ্যতা না থাকলেও বনে গেছেন সেবিকা। প্রতিনিয়তই ক্লিনিকে সেবা দান করছেন অদক্ষ সেবিকা। অদক্ষ সেবিকা দ্বারা কতটুকুইবা ভাল সেবা আশা করা যায়।
এ বিষয়ে কর্মরত ডিউটি ডাক্তার উদয় সরকারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়না।
ক্লিনিকের পরিচালক ডা:মাহফুজ শিকদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের এক্স-রের জন্য অনুমোদন এখনো পায়নি তবে চেষ্টা চলছে,এবং আমাদের একজন সেবিকা রয়েছে তার সেবিকা হবার মত কোন একাডেমিক সার্টিফিকেট বা তিনি প্রশিক্ষিত নই।
এ ব্যাপারে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অসীম কুমার সমাদ্দারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সরকারের নিয়মনিতী না মেনে যারা অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন রিপোর্ট প্রদান করে আসছে আমরা খুব দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। চিকিৎসা সেবায় কোন প্রকার অনিয়ম আশা করা যায়না। আমরা এব্যাপারে সচেষ্ট আছি।
সাধারন রোগীরা যখন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারেরর সরনাপন্ন হয়ে থাকে তখনি গলার কাটা হয়ে দাড়ায় এসব চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র। সাধারণ রোগীদের দাবী উন্নত ও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদান নিশ্চিতের জন্য এসব হাসপাতালের ব্যবস্থাপণা ভালভাবে করা এবং যারা অবৈধভাবে অনুমোদন না থাকার পরেও বিভিন্ন রিপোর্ট প্রদান করছে তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।