বগুড়ার নন্দীগ্রামে কোরবানির পশুরহাট জমে উঠেছে

প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২০

নাজমুর হুদা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে কোরবানির পশুরহাট জমে উঠেছে। দক্ষিণ বগুড়ার সর্ববৃহৎ গোহাটি হচ্ছে ওমরপুরে। বছরের ৯ মাস গোহাটি ওমরপুরে এবং ৩ মাস রণবাঘায় বসে। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে রণবাঘায় গোহাটি স্থানান্তর করা হয়ে থাকে। এখন গোহাটি রণবাঘায় রয়েছে। আগামী ১ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে রণবাঘাহাটে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়েছে। শুক্রবার এ হাটে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়। গত শুক্রবার হাটে আনুমানিক ৫ হাজার কোরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। ২৪ জুলাই শুক্রবার এ হাটে কোরবানির পশু সবচেয়ে বেশি ক্রয়-বিক্রয় হবে। কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধার্থে হাটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের তেমন কোন সমস্যা নেই বললেই চলে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটটি তদারকি করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা রণবাঘাহাটে এসে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। এবারো তাই হচ্ছে। এমনকি ব্যাপারীরাও ক্রয়-বিক্রয় করছে। এবার গরুর-ছাগলের বাজার দর তেমন বেশি নয়। শুক্রবার রণবাঘাহাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, হাটের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোরবানির পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জাল নোট শনাক্তকরণের জন্য বুথ চালু করা হয়। থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির বলেন, হাটের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি জাল নোট সনাক্তকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রণবাঘাহাটের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ হাটে তেমন কোন সমস্যা নেই। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রণবাঘা কোরবানির পশুরহাট দেশী গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে।




error: Content is protected !!