বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান

প্রকাশিত: ৪:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০২০

এ জি মুন্না নীলফামারীঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যন আব্দুল লতিফ খান। তিনি দীর্ঘদিন থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের হাতকে মজবুত করতে নিরলস কাজ করছেন।

স্থানীয়রা বলছে আব্দুল লতিফ খানের পুরো পরিবার বংশীয় ভাবে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। এবার তিনি দলীয় প্রতীক পাবে দেখেই একটি স্বার্থন্বেষী মহল তার নামে গুজব ছাড়াচ্ছে। বর্তমানে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল লতিফ খানের পিতা মঙ্গল খান ও ছোট ভাই আব্দুল মতিন খান পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়া তিনি ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী ও ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে পক্ষে পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি সদ্য ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, অত্র পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নে নৌকার প্রতিক পাওয়ার যোগ্য একমাত্র লতিফ চেয়ারম্যান। এমনকি সে যদি নৌকা প্রতিক নাও পায় তবুও সে আবার অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। কারণ তিনি তার কাজের মাধ্যমেই এলাকারবাসী মন জয় করে নিয়েছেন। আর আমরাও চাই তিনি যেন পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

একই এলাকার বাসিন্দা শাহ কামাল বলেন, লতিফ চেয়ারম্যান খুব ভালো মানুষ। তিনি দীর্ঘ ১৮-২০ বছর থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া লতিফ চেয়ারম্যানের চৌদ্দগুষ্টি আওয়ামী লীগ। তার বংশগত আওয়ামী লীগ হওয়ায় আমরা চাই সামনের নির্বাচনে তিনি নৌকার মাঝি হয়ে নির্বাচিত হন।

ঐ ইউনিয়নের আলতাফ হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি একজন যোগ্য প্রার্থী। আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের জনগন পুনরায় তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। তাই আমরা চাই তিনি যেন এবারের নির্বাচনে মার্কা হিসেবে নৌকা পান।

ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগ সূত্রমতে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ১৮ই মে তৎকালিন নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন বর্তমান পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান। ১৯৯১ সালের ১৯ই জুন তারিখে ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে আবার তিনি সহ-সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন।

১৯৯১ সালে তৎকালিন নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিপন বলেন, পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান ছাত্রলীগের সাথে জাড়িত ছিল। ছাত্র রাজনীতিতে প্রতিটি মিছিল মিটিং আন্দোলন সংগ্রামে লতিফ ছিল একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে মাঠে ছিল। তৎকালিন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকার কারণে তার নামে ১২ টি মামলা জলঢাকা কোর্টে হয়।

তৎকালিন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, জানি না কারা কি স্বার্থে তার নামে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু আমি বলবো লতিফ চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। সে ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আব্দুল লতিফ খান ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি দুই বার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি ১৯৯১ সালে জেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিলে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ খান বলেন, আমরা বংশগতভাবেই আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। আমি জন্ম থেকেই দেখে আসছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে এসেছে আমার পিতা। আমিও বড় হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করি। আমি ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগ ও ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়া আমি তিন বার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছি। আসলে আমার বিরুদ্ধে একটি কু-চক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি এটির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।




error: Content is protected !!